কাপ্তাই কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) ২৪ ঘন্টার মধ্যে উৎপাদনে না গেলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারী

35

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) লিমিটেডকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উৎপাদনে যাওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে উৎপাদন শুরু না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেপিএম শ্রমিক-কর্মচারী পরিষদের (সিবিএ) আয়োজনে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) লিমিটেডের উৎপাদন চালু রাখা এবং উৎপাদন বিরোধী যড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধনে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এতে সর্বস্থরের স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারি, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা অংশ নেন।
কেপিএম শ্রমিক কর্মচারি পরিষদ (সিবিএ) এর সভাপতি আব্দুল রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কাজী আবু সরোয়ার এর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, সিবিএ এর সহ সভাপতি মো: শহীদুল্লাহ, মো: তারেক ও মো: জসিম, যুগ্ম সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, আব্দুল আজিজ ও মো: আলাউদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হারুনর রশীদ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মো: আলাউদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কাসেম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সাল হতে তৎকালীন এমডি ড: এম এ কাদের এর যড়যন্ত্রে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এই কাগজ কলটির উৎপাদন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তিনি কেপিএম এর নিজস্ব পাল্প উৎপাদনও বন্ধ করে দেয়, ফলে এতদিন বিদেশি পাল্প এনে মাঝে মাঝে কখনো ৫ মেট্রিক টন আবারও কখনো ১০ মেট্রিক টন উৎপাদন চালু রেখে কোন রকমে মিলটি নাম মাত্র চালু রাখা হয়েছে। অথচ দৈনিক ১০০ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই মিলটির এখনো ১নং ও ২নং পেপার মেশিনের ৭০ হতে ৮০ মেট্রিক টন উৎপাদন এর সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া মিলের ৩নং মেশিনটি কারিগরি ক্রুটির কারনে বন্ধ রয়েছে। অথচ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকার পরও ২০১৭ সাল হতে এখনো পর্যন্ত খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মিলটি চলছে। ২০২২ সালে কারখানায় বাজেট কমিয়ে এবং শ্রমিক কর্মচারি কমিয়ে মিলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এখনো তৎকালীন এমডি আব্দুল কাদের এর দোসররা মিলে বহাল তবিয়তে থেকে যড়যন্ত্রে লিপ্তে আছে। এই অবস্থায় মিলের উৎপাদন চালু রাখার জন্য সর্বস্থরের শ্রমিক কর্মচারিরা জোড় দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো জানান, কেপিএমের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে প্রাইভেট কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদিত কাগজের দাম বৃদ্ধি করে দেবে। ফলে এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আমরা বিসিআইসির ফেডারেশন এর নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের সাথে গত ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রনালয়ে দেখা করেছি। উনি কারখানার উৎপাদন চালু রাখার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।
এব্যাপারে কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) জি এম (উৎপাদন) মঈদুল ইসলাম জানান, পাল্প সংকট এবং কারিগরি ক্রুটির কারনে বিগত দেড় মাস ধরে মিলে কোন উৎপাদন হচ্ছে না। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে আমরা উৎপাদনে ফিরবো।