॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
আমার জন্মদিনে ‘এত মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছি, নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে’ বলে জানালেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের পথ প্রদর্শক, সাংবাদিকদের ইনিষ্টিটিউট ও সংবাদপত্রের পথিকৃৎ এবং পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথম প্রচার বহুল পত্রিকা সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক চারণ সাংবাদিক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ। তিনি বলেন, নিজের জন্মদিন কখনো ঘটা করে তেমন পালন করা হয়ে উঠেনি। তবে প্রতিবছর যেন না চাইতেও অনেক কিছুই পেয়েছি। আমার শুভাকাঙ্খি ও ভক্তারা আমাকে এত ভালোবাসে তা অকল্পনীয়। প্রতিবছর আসলে আমার শুভাকাঙ্খি ও ভক্তরা নিজেদের উদ্যোগে সবকিছু করার কারণে আমার জন্মদিনটা ছোট পরিসর থেকে বড় পরিসরে হয়ে যায়।
জন্মদিন উপলক্ষ্যে নিজের উদ্যোগে কেক কাটাসহ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো এবং কাছের ও দূরের ভালোবাসার মানুষগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানো কেউ বা ফোন করে শুভেচ্ছা জানানো এযেন অফুরান ভালোবাসার প্রাপ্তি। এযেন পাহাড়ে সাংবাদিকতার অনন্য এক প্রাপ্তি। যা কখনো ভুলার নয়, ভুলতেও পারবো না।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথম প্রচার বহুল পত্রিকা সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক চারণ সাংবাদিক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ এর ৮০তম জন্মদিনের প্রথম দিনে যারা ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেনি তারা দ্বিতীয় দিনে দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয়ে এসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি তাদের উদ্দেশ্যে এইসব মনের কথা বলেন।
এর আগে বুধবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে ৮০তম জন্ম দিন উপলক্ষে রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের জনগন, বিভিন্ন পেশাজীবি ও রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও তার ভক্তবৃন্দ আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদের জন্ম দিনে ভালোবাসা স্বরূপ ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে ভীড় করে জেল রোডস্থ দৈনিক গিরিদর্পণ প্রধান কার্যালয়ে।
আলহাজ্ব একে এম মকছুদ আহমেদ এর ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে নিজ বাসভবনে বিকেলে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদে রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। এসময় তার জন্মদিনে তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ যে সময় পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্গমতা আর জীবনধারন ছিল দুর্বিসহ ব্যাপার ও খুবই কষ্টদায়ক। সেসময় পার্বত্য চট্টগ্রামে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা ছিল এক কল্পনাতীত বিলাসিতা মাত্র। আর সেই কঠিন সময়ে পাহাড়ে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মত চ্যালেঞ্জিং পেশার বীজ বপন করেছিলেন এ কে এম মকছুদ আহমেদ। তাঁর সেই বৃক্ষটি আজ ডালপালা মেলে বিশালাকার মহিরুহে পরিনত হয়েছে। তিন জেলায় সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে এবং বর্তমানেও ঘটিয়ে চলছে। যতদিন পাহাড়ে সাংবাদিকতা থাকবে ততদিন তিনিই থাকবেন অগ্রপথিক হিসেবে।
এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পিতার নাম মৃতঃ জামাল উল্লাহ, মাতার নাম জমিলা খাতুন। তিনি ১৯৪৫ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় উত্তর মগাদিয়া পোষ্ট-মলিয়াইশ জন্ম গ্রহণ করেন।