॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটির প্রতিটি পুজা মন্ডপে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে পুজাকে আনন্দময় করে তুলতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান। তিনি বলেন, পুজার আগে থেকে মন্ডপ এলাকায় কোন অপরিচিত লোকের ঘোরাঘুরি ও সন্দেহ ভাজন কাউকে দেখা গেলে নিরাপত্তা বাহিনীকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটিতে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে দূর্গোৎসবের প্রস্তুতিমুলক সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।
সভায় রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির আহবায়ক অমলেন্দু হাওলাদার, সদস্য সচিব বিপুল ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মোঃ মীর আবু তৌহিদ বিপিএম (বার) বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে ২৪ ঘন্টা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। এছাড়া প্রত্যেকটি পূজা মন্ডবে সার্বক্ষণিক নজর দেয়া হবে।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা অ্যাডজুট্যান্ট বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রতিটি বড় পূজামণ্ডপে ৮ জন, মাঝারি পূজামন্ডপে ৬ জন, ছোট পূজামন্ডপে ৪ জন আনসার সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
দূর্গোৎসবের প্রস্তুতিমুলক সভায় পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন পরিষদকে নিজ উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। পাশাপাশি দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের গুজব বা দুষ্কৃতকারী দ্বারা দুর্ঘটনা এড়াতে সাথে সাথে প্রশাসনকে অবগত করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান। এছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজার সময় নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়।
রাঙ্গামাটি জেলায় এবছর ৪৩ পুজা মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে।