॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥
শোকের মাসের প্রথম প্রহরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিল ও মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
সোমবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিটে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমানের নেতৃত্বে আলোর মিছিল বের করা হয়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের হাজারো নেতা-কর্মী হাতে মোমবাতি নিয়ে জড়ো হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটির সামনে। সেখানে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংগঠনের নেতারা। পরে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করা হয়।
এ সময় ঢাকা মহনগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারিক সাইদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, শোকের মাসের প্রথম প্রহরে সারাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে আলোক প্রজ্জ্বালন করেছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হলের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গলি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। জাতির জনকের কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড ছুঁড়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এই ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী, আওয়ামী লীগের সেই সময়ের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিনী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।