লংগদুতে জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট

57

লংগদু প্রতিনিধিঃ-ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটির লংগদুতে জমতে শুরু করেছে পশুরহাট। তবে বেচাকেনা এখনো সেভাবে জমেনি। খামারী ও কৃষকরা বিভিন্ন পশুরহাটে যাচ্ছেন কোরবানির গরু-ছাগল নিয়ে। পশুর হাটগুলো জমিয়ে তুলতে ইজারাদাররা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লংগদুতে কুরবানির পশুর হাটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বৃহত্তর মাইনীমূখ বাজার। এ হাট আয়তন ও বেচাকেনায় উপজেলা তথা জেলার সবচেয়ে বড়।
সম্প্রতি হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরু, মহিষ ও ছাগল নিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। এবার কোরবানিতে প্রাধান্য পাবে স্থানীয় খামারে পালিত দেশি জাতের গরু-ছাগল। সেদিকে খেয়াল রেখেই হাটে পশু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। হাটে পশু আসতে শুরু করলেও এখন পর্যন্ত ক্রেতারা দলবেঁধে আসেনি। তবে যারা কিনতে আসছেন তারা শুরুতে দাম একটু বেশি বলে জানিয়েছেন। ওইদিন মাইনী বাজারে পাশ্ববর্তী উপজেলা বাঘাইছড়ি থেকে গরু নিয়ে আসা শহিদুল ইসলাম ১৫টি গরু নিয়ে আসেন। প্রতিটির দাম হাকেন ৫৫ হাজার থেকে শুরু করে লাখ পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্ট হাটের ইজারাদার মো. মিজান ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারও কোরবানিতে প্রাধান্য পাবে স্থানীয় খামারে পালিত দেশি জাতের গরু-ছাগল। লংগদুতে এবার চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু থাকায় দাম নাগালের মধ্যে থাকবে বলে আশা করছেন তারা।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও খামারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে এবারও লংগদুর খামার ও গৃহপালিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গবাদিপশু লালন পালন করা হচ্ছে। গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় এবার খামারীদের খরচ একটু বেশি পড়ছে। ফলে গতবারের তুলনায় এবার গরু-ছাগলের দাম একটু বেশি পড়বে বলেও জানান তারা।
গতবছর লংগদুতে চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশুর পরিমাণ বেশি ছিল। যে কারণে শেষের দিকে এসে অনেক খামারীকে লোকসান দিয়ে পশু বিক্রি করতে হয়েছে। এরকম বেশকিছু খামারী লোকসানের কারণে এ ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। যারা অধিক খরচ করে খামার টিকিয়ে রেখেছেন, তারা এবার লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন কিনা এ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
গরু ব্যবসায়ীরা বলেন, মাংসের বাজার হিসাবে কোরবানির গরুর দাম এখনো কমই রয়েছে। তারা বলেন, ছোট আকৃতির গরু এখন ৫০-৬০ হাজার টাকায় মিলছে, মাঝারি আকৃতির গরুর দাম ৭০-৮৫ হাজার টাকার মধ্যে এবং বড় গরু ৯০-১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
বাজারের এক ইজারাদার বলেন, বর্তমানে ঈদ উপলক্ষে আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন খামার থেকে কোরবানির গরু আসতে শুরু করেছে। তবে বেচাকেনা শুরু হলেও জমে ওঠেনি এখনো। বেশির ভাগ ক্রেতা হাটে এসে দরদাম হাঁকিয়ে কোরবানির বাজার বোঝার চেষ্টা করছেন। যাদের বাসায় গরু রাখার জায়গা আছে, কেবল তারাই এখন দামে সুবিধা হলে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মাইনী বাজারে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসবে এবং বাজারে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বাজার কমিটিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে লংগদু থানা পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।