ডেক্স রিপোর্ট, পাহাড়ের আলো ডট কম : রাঙ্গামাটির লংগদুতে ২জন ও বান্দরবান উপজেলার রুমায় ৬ জনকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় গ্রামবাসী ও পুলিশের তথ্য অনুসারে জানা যায় রবিবার পৃথক সময়ে সন্ত্রাসীরা এই ৮ জনকে অপহরণ করে।
লংগদু সংবাদাদাতা জানান: রবিবার বিকালে লংগদু জোন ২১ বীরের আওতাধীন দীঘিনালা উপজেলাস্থ মেরুন ইউনিয়নের উতঙ্গমনী কারবারী পাড়ার রাংগাপানিছড়া সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয় সংলগ্ন বাসা হতে ২ জনকে অপহরণ করা হয়। অপহৃতরা হলেন, বিমল বিহারী কারবারী (৭৩), পিতাঃ ইন্দ্রসেন চাকমা এবং পুনিল চাকমা (৪৫), পিতাঃ- অজ্ঞাত। এ দুই জনের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার উতঙ্গমনি কারবারী পাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু লারমা গ্রæপ সমর্থিত বলে জানা যায়। তবে কারা তাদেরকে অপহরণ করেছে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান: বান্দরবানের রুমা উপজেলা থেকে ৬জন কে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে, এসময় সন্ত্রাসীরা পাড়ার লোকজনদের মারধর ও বাসা বাড়িতে লুটপাট চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি টহল দল পরিদর্শনে গেছে বলে জানা গেছে।
রুমা সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা শৈবং জানান, দুপুর ১টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সামাখাল পাড়ায় হঠাৎ আক্রমণ করে। তারা সেখানে পাড়াবাসিদের মারধর করে ও লুটপাট চালায়। পরে সন্ত্রাসীরা ওই পাড়া থেকে ছয়জনকে ধরে নিয়ে যায়।
অপহৃতরা হলো সামাখাল এলাকার বাসিং অং মারমা(৩০), হ্লামং মারমা (৪৮) মংগ্যাই মারমা (৫৭), চিংথোয়াই মারমা (৪৫) ও থোয়াই মারমা (৬২)। ৫ জনের নাম ও পরিচয় পাওয়া গেলেও অপর একজনের নাম ও পরিজয় পাওয়া যায়নি।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবুল কাশেম জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি টিম গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট রুমার মুনরম পাড়া থেকে শসস্ত্র সন্ত্রাসীরা তিন জীপ চালককে অপহরণ করে নিয়ে যায়, পরে যৌথবাহিনীর অভিযানে কয়েকদিন পরে তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়।