নিজস্ব প্রতিবেদক,রাঙ্গামাটি : পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কাউন্সিলে নেতৃবৃন্দরা বলেছেন, ৪০ বছর আগে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, কারণ পাহাড়ে সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রধান বাধা হচ্ছে সেনাবাহিনী। তাই সেনাবহিনীকে নিয়ে প্রতিনিয়তই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পাহাড়ে হত্যা ও অপহরণ বন্ধ করতে হবে। পাহাড়ের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অবিলম্বে উচ্ছেদকৃত সেনাক্যাম্প পূনঃস্থাপন করাসহ সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করতে হবে।
শুক্রবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটটে “সকল ক্ষেত্রে পার্বত্য বাঙ্গালীদের সাংবিধানিক অধিকার দিতে হবে” এই শ্লোগানে অনুষ্ঠিত পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটির জেলা কাউন্সিলে আগত অতিথিবৃন্দরা এসব কথা বলেন।
পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে জেলা কাউন্সিলে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পার্বত্য বিষয়ক লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক ও উপদেষ্টা সদস্য অধ্যক্ষ আবু তাহের।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাবেক উপদেষ্টা সদস্য ইসমাইল নবী শাওন, এডভোকেট ইব্রাহিম মনির, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অখন্ডতা রক্ষায়, দেশমাতৃকার স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। পার্বত্য বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ঘোষিত ৮ দফা দাবি আদায়ে সকল নাগরিকদের সোচ্চার থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো দেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের হত্যা করেছে। কারণ তাদের অপরাজনীতির পথে প্রধান বাধা দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী, তাই তারা সেনাবাহিনীকে এখন টার্গেট করে হত্যার রাজনীতিতে মেতে উঠেছে।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন বাংলাদেশেরই অংশ, পার্বত্যাঞ্চলকে স্বাধীন জুমল্যান বানানোর জন্য যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের স্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়ন হবেনা।
কাউন্সিলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি ও মোঃ আবদুল মান্নানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭ সদস্য আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সিনিয়র সভাপতি মোঃ ফয়েজ আহম্মেদ, সহ সভাপতি মোঃ সোহেল, সহ সাধারন সম্পাদক আবদুল আল মোমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন (বাঘাইছড়ি), সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (লংগদু), প্রচার সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ মোঃ ইউসুফ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ আল আমিন (বরকল), ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা আক্তার, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক সাবিনা আক্তার, অর্থ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, সহ অর্থ সম্পাদক মোঃ জামিল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদিকা মোছাম্মদ জেসমিন আক্তার, সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদিকা রুবী আক্তার।