ডেক্স রিপোর্ট পাহাড়ের আলো ডট কম : গত ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে ৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেলেও রাঙ্গামাটি হাসপতালে ১১ জন ও খাগড়াছড়ি ১৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার মধ্যে রাঙ্গামাটির ১ জন এবং খাগড়াছড়ির একজনকে চট্টগ্রামে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগষ্ট) দুপুর পর্যন্ত রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ১৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৮জন চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরে গেছেন বাকি ৯ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। জেলার লংগদু উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন একজন। গত দুই দিনে ১১জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
রাঙ্গামাটি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শওকত আকবর জানান, গত দুই দিনে নতুন করে ১০ জন ডেঙ্গু রোগি ভর্তি হয়েছেন। এ পর্যন্ত রাঙ্গামাটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ১৭ জন। এর মধ্যে ৮জন চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরে গেছেন বাকি ৯ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
তিনি জানান, ডেঙ্গু রোগিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া হচ্ছে। রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের প্রফেসরসহ একটি টিম গঠন করা হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমসময় মেডিকেল টিমটি প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে খাগড়াছড়িতে আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। মাত্র ৮ দিনের ব্যবধানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৩২ রোগী। অজয় সাহা নামে এক ডেঙ্গু রোগিকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তের কিট সংকটের কারনে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
জেলার অপর ৮টি উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু শনাক্তের কিট না থাকায় রোগিরা ভীড় করছে সদর হাসপাতালে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত পর্যন্ত ৮ দিনে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ৩২ জন ভর্তি হয়েছে। অজয় সাহা নামে এক রোগির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেহ হাসপাতালে প্রেরণ করার হয়েছে।
সনাক্তদের মধ্যে ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৯ ডেঙ্গ রোগিতে নিবিড় পর্যবেক্ষনের রাখা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তের কিট সংকটের কারনে চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।