শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ঈদ বাজার

133

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ঈদ বাজার। রাঙ্গামাটি জেলার প্রধান তিনটি বাজার রিজার্ভ বাজার, বনরূপা ও তবলছড়ির মার্কেটগুলোতে কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে ঈদ উদ্যাপন করা মানুষ। প্রথমদিকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম কম থাকলেও শেষ মুর্হুতে কাপড়ের দোকানগুলো ক্রেতাদের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর ঈদের আনন্দ না থাকলেও এবছর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিটি মানুষ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাঙ্গামাটির মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। পরিবারের সদস্যদের সাধ্যমত কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা। তবে কাপড়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম বেশী হলেও গত দুই বছরে করতে না পারা ঈদের আনন্দ একটু বেশী দাম যেন কোন কিছুই না।
বিক্রেতারা বলছে রাঙ্গামাটির দোকানগুলোতে নিত্য নতুন ডিজাইনের কাপড় এসেছে ক্রেতারাও দেখে শুনে নিয়ে যাচ্ছে। এবার কালেকশন ভাল, তাই যারা জেলার বাইরে থেকে ঈদের কেনা-কাটা করতেন তারা এবার ভীড় করেছেন শহরের বিপনী গুলোতে। আমরা সামান্য লাভের উপরে ক্রেতাদেরকে তাদের প্রয়োজনীয় পন্য দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতানে ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে, বড় দোকানগুলোর চেয়ে ফুটপাতের দোকান গুলোতে বেচাবিক্রি বেশী হচ্ছে। মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নি¤œবিত্তের সকল মানুষ ফুটপাতে দোকান গুলোর দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।
ক্রেতারা মনে করেছেন, ফুটপাতে সস্তা এবং ক্রয় ক্ষমতার ভীতরে থাকায় তারা ঐসব দোকানে ভীড় করছেন। তবে ব্যবসায়ীরা ঐ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্বিগুন-তিনগুন চড়া দামে বিক্রি করছেন কাপড়। এছাড়াও নারীদের অধিক ভীড় লক্ষ্য করা যায় কসমেটিক্স এর দোকান গুলোতে। কসমেটিক্স ব্যবসায়ীরা বলেন, সারা বছর তাদের দোকানগুলোতে স্বাভাবিক বেচাবিক্রি হলেও ঈদের বেচাবিক্রি অনেকটাই বেশী। প্রায় সারারাত দোকান খোলা রেখে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে নিত্য নতুন ডিজাইনের কাপড় সেলাই করছে দর্জিরা। ২০ রমজানের পর থেকে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দর্জিরা।
করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় এবছর ঈদ উদযাপন করতে পারায় কেনা কাটার ধুম লেগেছে সকলের মাঝে। তার পরও স্বাস্থ্য সচেতন থেকে নিজেদের রোগমুক্ত রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা।