হস্তশিল্প বুনন প্রশিক্ষণে যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে তা যথাযথ ভাবে কাজে লাগাতে হবে-রেমলিয়ানা পাংখোয়া

381

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট বাস্তবায়নে রাঙ্গামাটিতে ১৫ দিনব্যাপী হস্তশিল্প বুনন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সনদপত্র বিতরনী অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের আহ্বায়ক রেমলিয়ানা পাংখোয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষনে অংশগ্রহনকারী প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরন করেন।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক (ভাঃ) রুনেল চাকমা’র সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাংস্কৃতিক সংগঠন সুর নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুর গুর্খা, প্রধান প্রশিক্ষক বাবলু, হিল ই-কমার্স সোসাইটির এ্যাডমিন মনি, ই-কমার্স ফোরামের উদ্যেক্তা ত্রিশিলা চাকমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। তাই প্রশিক্ষন থেকে যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছো তাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, প্রশিক্ষন শেষ করে বসে থাকলে হবেনা। নিজেদের তৈরিকৃত হস্তশিল্প সামগ্রীগুলোকে বানিজ্যিক ভাবে বিক্রয়ের চিন্তা চেতনা করতে হবে। বিশদভাবে বানিজ্যিক ভাবে প্রসারের চিন্তা চেতনা করলে যুব সমাজকে আর চাকুরির পেছনে ছুটটে হবেনা। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীদের সম্পৃক্ত করা গেলে তাদের স্ব-স্ব জাতির ব্যাবহার্য হস্তশিল্পগুলো তৈরি করে ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি বানিজ্যক ভাবে সম্প্রসারন করা সম্ভব।
১৫দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকার ২০জন প্রশিনার্থী অংশগ্রহণ করে।