থানচি প্রতিনিধিঃ-বান্দরবানে থানচি হতে বলিপাড়া রাস্তায় ১১ কিলোমিটার শিলা ঝিড়ি (সংরেক্ষ্যং) নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতদের জন্য উপজেলা প্রশাসনে অর্থায়নের একটি মোজাইক করা স্মৃতিসৌধটি অযত্ন অবহেলা ও অরক্ষিত অবস্থা পড়ে রয়েছে। দেখার কেউ নেই।
জানা গেচ্ছে, ২০১২ সালে ১৪ জানুয়ারী শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় থানচি থেকে বান্দরবান সদরে উদেশ্যে একটি যাত্রীবাহী বাস। বান্দরবানে থানচি সড়কে ১১ কিলোমিটার শিলা ঝিড়ি (সংরেক্ষ্যং) নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত হয়। যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রন হাড়িয়ে ৩০০ মিটার পাহাড়ী ঝিড়ি (খাদে) পড়ে যায়।
ঘটনাস্থলে বীর মুক্তিযুদ্ধা ও আওয়ামী লীগের সদর ইউনিয়নের সভাপতি উহ্লাচিং মারমা ৬৫, তার দৌহিত্র দুই মেয়েসহ ১৭ জনে শহিদ হন। বাস চালকসহ ১৪ জন গুরুতর আহত হন। একই বছরে সড়ক দুর্ঘটনা নিহতদের শহিদ হিসেবে বিবেচনা করেন প্রশাসন। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ বিবেচনা স্থান পায় ঘটনাটি। উপজেলা প্রশাসনে আয়োজনের মাসিক সমন্বয় সভা সাংবাদিক অনুপম মারমা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারের আলোচনা আমলে নেন। একই বছরে প্রশাসনে অর্থায়নের সড়ক দুর্ঘটনা নিহতদের স্বরনে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান করেন। সেই স্মৃতিসৌধ বিগত ৯ বছর ধরে অবহেলিত ময়লা অবর্জনা ও অরক্ষিত অবস্থায় জঙ্গলে পরিনত রয়েছে।
মৃত মুক্তি যোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা উহ্লাচিং মারমা মেয়ে সড়কে দুর্ঘটনা কবলিত বেঁচে যাওয়া থানচি হেডম্যান পাড়া বাসিন্দা ডথুইনু মারমা বলেন, সেদিন আমার বাবা আমি আমার ছোট বোন তিনজন গোপালগঞ্জে স্কুলে পড়াশুনা জন্য সকাল ৭টায় বান্দরবান উদেশ্যে রওনা দিচ্ছিলাম। আমি আহত হলে ও আমার ছোট বোন ও বাবা প্রান হাড়ান। আমি যখনি বান্দরবান থানচি আসা যাওয়া করি তখনি ঐ স্মৃতিসৌধ দেখলে বাবা আর বোনের কথা মনে পড়ে। বর্তমানে আওয়ামীলীগ নেতারা আমাদের পরিবারকে দেখভাল না করলে ও কোন দু:খ নেই। স্মৃতিসৌধটি ময়লা অবর্জনা অরক্ষিত দেখলে ভিশন দু:খ পায়। মনে মনে ভাবী লেখা পড়া শেষ করে ছাত্র লীগের যোগ দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করি। কারন জনপ্রতিনিধি হলে স্মৃতিসৌধটি আরও সংরক্ষনে ব্যবস্থা করার সম্ভব হবে। বর্তমানে জনপ্রতিনিধিরা সব ভূলে গিয়েছে। তারাতো উড়ে এসে জোরে বসার লোকজন।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানি বলেন, আমি স্মৃতিসৌধটা দেখি। কিন্তু তার ইতিহাস জানা নেই। সাংবাদিক অনুপম মারমা মাধ্যমে জানতে পেরেছি। উপজেলা প্রশাসন স্মৃতিসৌধটি আরও সুন্দর করবো এবং কয়েকদিনের মধ্যে অরক্ষিত থাকবে না। নিহতদের নাম খুঁজে তাদের নামে একটি বিল বোর্ড তৈরী করার চেস্টা করবো।