বাঘাইছড়ি প্রতিনিধিঃ-রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির বঙ্গলতলী ইউনিয়নের জারুলছড়ি গ্রামে সুরেশ কান্তি চাকমা ওরফে দীনেশ নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত ব্যক্তি বাঘাইছড়ি উপজেলা জেএসএস (মূলের) সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিচার শাখার প্রধান ছিলেন।
শুক্রবার (১৭সেপ্টেম্বর) ভোরে বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তরে বঙ্গলতলী ইউনিয়নের জারুলছড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের হাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোরে একদল অস্ত্রধারী বঙ্গলতলী ইউনিয়নের জারুলছড়ি গ্রামে গিয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা জেএসএস (মূলের) সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিচার শাখার প্রধান সুরেষ কান্তি চাকমাকে তার বাড়িতে গিয়ে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। তবে তারা এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে প্রাণনাশের ভয়ে তিনি নিয়মিতই নিজ বাড়ির বাইরে থাকতেন বলেও জানান স্থানীয়রা।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খাঁন জানান, আমরা সংবাদ পাওয়ার পরপরই মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ রওনা দিয়েছে। কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
এদিকে জেএসএস সন্তু লারমা দলের অন্যতম নেতা ত্রিদিপ চাকমা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং ঘটনায় জেএসএস এমএন লারমা (সংস্কার) দলকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে জেএসএস এমএন লারমা (সংস্কার) দলের বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বঙ্গতলীতে আমাদের এমএন লারমা (সংস্কার) দলের কোন লোক নেই। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরো বলেন, সামনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ পাহাড়কে অস্থিতিশীল করে তুলতে এমন কর্মকান্ড দ্বারা এলাকায় আতংক ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা জেএসএস (মূলের) সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিচার শাখার প্রধান নিহত সুরেশ চাকমার মরদেহ খুঁজে পায়নি পুলিশ। এ ব্যাপারে তার পরিবার ও স্থানীয়রা পুলিশের কাছে মুখ খুলতে রাজী হয়নি। তবে নিহত সুরেশের পরিবার পুলিশকে সহযোগিতা না করলেও তার মৃত্যুর ব্যাপারটি নিশ্চিত হতে পেরেছে পুলিশ।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খান পুলিশ জানায়, সকালে হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশ পৌঁছানোর আগেই মরদেহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, হত্যাকান্ড হয়েছে সেটি পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। তবে নিহতের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি মরদেহ উদ্ধারের। কিন্তু স্থানীয়রাও এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে না।