বিলাইছড়িতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

129

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়িঃ-বিলাইছড়িতে নানা আয়োজনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও শোক দিবস স্বাস্থ্য বিধি মেনে পালন করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ আগস্ট) শিল্পকলা একাডেমিতে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের উপলক্ষে আলোচনা সভা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা)উৎপলা চাকমা, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, বীর মুক্তি যোদ্ধা শাক্য প্রিয় বড়ুয়া ও দপ্তরের প্রায় কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
অন্যদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে নিজ দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যা, সহ-সভাপতি ও ৩নং ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা, সাধারণ সম্পাদক মো.শহিদুল ইসলাম, আওয়ামী-যুবলীগের সভাপতি রুপন কান্তি দাশ,ছাত্রলীগের সভাপতি উষামং মার্মা এবং সাধারণ সম্পাদক মো.ইসহাক ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা ও নেতৃবৃন্দ। এতে সকালে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালী আলোচনায়ও অংশগ্রহণ করা হয়।
বক্তারা বঙ্গবন্ধু শাহাদাত বার্ষিকীতে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে ভোর রাতে জাতির পিতাকে স্ব পরিবারে হত্যাকে একটি নাক্ক্যরজনক ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড বলে আখ্যা দেন।তাই পালিয়ে থাকা আসামীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি দাবি জানান।
পৃথিবীর এই জগন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেনি বঙ্গবন্ধু অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রউফ সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবী ও সুকান্তবাবু, ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজরুল হক মণি ও তার অন্তরসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান, রিন্টু ও কর্ণেল জামিল সহ ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠ জন।
এসময় ২ কন্যা শেখহাসিনা ও শেখ রেখানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে সকলে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, গাছের চারা রোপন এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।