নিজস্ব প্রতিবেদক,রাঙ্গামাটি – নানিয়ারচর সেনা জোন কামন্ডার লে. কর্ণেল মোঃ কাইয়ুম হোসেন পিএসসি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সুনাম অর্জনকারী ফুটবল খেলোয়াড় মনিকা চাকমার মতো আরো পাহাড়ে আরো প্রতিভাবান মনিকা তৈরি করতে সেনাবাহিনীও কাজ করবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সেনাবাহিনী অবদান রেখে চলেছে। শুক্রবার (১৪ জুন বিকালে মাহাপুরম হীল গ্রীণ যুব সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্ট এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা সমাজ সেবক বিমল তালুকদার এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় এর সম্পাদক ও প্রকাশক মিলটন বড়–য়া। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাহাপুরম হীল গ্রীণ যুব সোসাইটি এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুনীতি আলো চাকমা। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন ক্রীড়া সম্পাদক জীবন্ত চাকমা।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বিনোদনের একটি সুন্দর মাধম্য হচ্ছে ফুটবল খেলা। আমিও সৌভাগ্যবান যে, এ টুর্নামেন্টের সমাপনীতে আসতে পেরে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলে সহযোগীতার করা হবে বলে আশ^াস দেন। তিনি এলাকার উন্নয়নে সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টার আবেদনগুলো যতটুকু সম্ভব সহযোগীতা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন।
অপরদিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পাহাড়ের সময় এর সম্পাদক ও প্রকাশক মিলটন বড়–য়া বলেন, সরকার যেভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন করছে তাতে এখানকার মানুষ প্রশান্তিতে থাকতে পারে। কিন্তু প্রত্যেককেই খেয়াল রাখতে হবে এলাকার শান্তি পরিবেশটায় যাতে বিঘœ না ঘটে। কেননা শান্তি বিঘিœত হলে প্রশান্তিটা দূরে চলে যায়। তাই সকলেই মিলে শান্তিটাকে আনতে হবে।
এসময় তিনি খেলায় বিজয়ী রিচিবিল বেতছড়ি দলকে ৩ হাজার ও রানার্স আপ সিকল পাড়া সমন্বয় ক্লাবকে ২ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিমল তালুকদার বলেন, রামহরি পাড়া এলাকার কিছু রাস্তা এবং একটি কালর্ভাট করা হলে স্কুল পড়–য়া ছেলে মেয়েদের জন্য উপকার হবে সেই সাথে কৃষিপণ্যে উন্নয়ন ঘটবে। তিনি এসব উন্নয়নে সেনাবাহিনীর
সহযোগীতা কামনা করেন।
খেলায় সিকল পাড়া সমন্বয় ক্লাবকে ৬-০ গোলে হারিয়ে রিচিবিল বেতছড়ি দল বিজয়ী হয়। পরে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, এ খেলায় ২৯টি দল অংশগ্রহণ করেন। গত ৩ মে খেলা শুরু হয় এবং ১৪ জুন সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়।