বর্তমান সরকারের আমলেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে – দীপংকর তালুকদার এমপি

443

নিজস্ব প্রতিবেদক – বর্তমান সরকারের আমলেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে, পাহাড়ে এ ধরনের উন্নয়ন অতীতে কোন সরকারের আমলেই হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তণ প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি।

সোমবার (৩ জুন) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কনফারেন্স কক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একসেস টু ইনফরমেশন (এটু আই) এর সহায়তায় রাঙ্গামাটির দূর্গম বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় শিক্ষা উন্নয়নে সোলার চালিত এলইডি লাইট ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সরঞ্জাম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদে, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রæ চৌধুরী, পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, ত্রিদীপ কান্তি দাশ, মোঃ জানে আলম, অমিত চাকমা রাজু, রেমলিয়ানাপাংখোয়া, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, কাউখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম চৌধুরীসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিগন উপস্থিত ছিলেন।

দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের জন্য সরকার যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ আছে, যারা পাহাড়ের উন্নয়ন চায়না। যারা সব সময় বিভিন্ন সময় পাহাড়ে সহিংসতার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, যেখানে সম্প্রীতি থাকবেনা ,সেখানে উন্নয়ন সম্ভব না। আর উন্নয়ন না হলে দেশে এগিয়ে যাবেনা। তাই তিনি সকল জাতিগোষ্ঠীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পরিত্যাগ করে, হানাহানি ভুলে সরকারের উন্নয়নে সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।

রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার আরও বলেন, রাঙ্গামাটির দূর্গম অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুতের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলের ২৬টি উপজেলা এখন বিদ্যুতের আওয়তায় রয়েছে। আর যেসব এলাকায় এখনো বিদ্যুতের পৌছানো হয়নি, সেসব এলাকায় সৌরশক্তি ব্যবহার করে সোলার প্যানালের মাধ্যমে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোতে সোলার চালিত মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম চালু করা হচ্ছে।

আলোচনাসভা শেষে বরকল উপজেলার বিলছড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিলাইছড়ির ফারুয়া উচ্চ বিদ্যালয়, জুরাছড়ির বড়কলক নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাঘাইছড়ির আমতলী উচ্চ বিদ্যালয়, লংগদুর কাট্টলী উচ্চ বিদ্যালয়, নানিয়ারচরের জাহানাতলী ও মহাপুরম উচ্চ বিদ্যালয়, সদর উপজেলার বন্দুক ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কাউখালী উপজেলার ডাবুয়া বৃক্ষভানুপুর উচ্চ বিদ্যালয় মোট ৯টি বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম ডিভাইস ও ৭৮জন করে উক্ত ৯টি বিদ্যালয়ের মোট ৭০২জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সোলার চালিত এলইডি লাইট এর সরঞ্জাম প্রদান করা হয়।