আলীকদম প্রতিনিধিঃ-কার্যাদেশ দেওয়ার দেড়বছর হতে চললেও নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি আলীকদমে মডেল মসিজদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের। দেশের বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাজ শেষের পথে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন এখনো পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করতে জমি বুঝিয়ে দেয়নি। ইউএনও’র বক্তব্য সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পে’র আওতায় আলীকদমে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে প্রায় ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদ নির্মাণে ২০১৯ সালে টেন্ডার আহ্বান করে গণপূর্ত বিভাগ।
আলীকদম উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ ভেঙ্গে সেখানে এ স্থাপনাটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন উপজেলা প্রশাসন। মডেল মসজিদ নির্মাণে ৪০ শতক জমির প্রয়োজন। বর্তমান মসজিদের স্থানে সে পরিমাণ জমি নেই।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে জায়গা নির্ধারণের দায়িত্ব জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের। নিয়ম অনুযায়ী জমি নির্ধারণের পরেই দরপত্র আহ্বান করার কথা। আলীকদমে মডেল মসজিদের জন্য জমি নির্ধারণ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই গণপূর্ত বিভাগ তড়িঘড়ি করে দরপত্র আহ্বান করেন। এ কারণে নির্মাণ কাজ করতে সমস্যার সৃষ্টি বলে জানা গেছে।
’তবে গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ পারভেজ খাদেম সাংবাদিকদের জানান, ‘মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জমি ধর্ম মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা করবে। গণপূর্ত অধিদপ্তর অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করবে।’
আলীকদমে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ২০১৯ সালের আগস্টে দরপত্র আহ্বান করলে আমরা এ মসজিদটি নির্মাণে মনোনীত হই। আমাদেরকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।
তার দাবী, ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী প্রকল্পের কাজ শুরু করার জন্য গেলে উপজেলা প্রশাসন জমি বুঝিয়ে দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বান্দরবান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ নিয়ামত উল্লাহ বলেন, মডেল মসজিদ নির্মাণে প্রয়োজনীয় জায়গা আমরা পাইনি। সামনের পুকুরের জায়গা থেকে ৩০ ফুট নিলে নির্মাণ কাজ করা যাবে। কিন্তু কিছু জটিলতা রয়েছে। এ বিষয়ে সুরাহার ব্যবস্থা চলছে বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে সোমবার বিকেলে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদ ইকবাল জানান, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক নির্মাণে জমির সমস্যাটি এখনো পুরোপুরি সমাধান হয়নি। সমাধানের চেষ্টা চলছে।