নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-দলীয় ‘শৃংখলাভঙ্গের অভিযোগে’ সাময়িক বহিষ্কার হওয়া রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের ছয় নেতার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। শুক্রবার (১২ মার্চ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিবৃতি ১৩ মাস আগে, ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ‘ফেসবুক ভেরিফাইড’ পেজে দেয়া কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাইফুল আলম রাশেদ, সহ সভাপতি রূপম দাশ, যুগ্ম সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন শাকিল, দপ্তর সম্পাদক নুর আলম ও উপ-দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বাধীন’কে সাময়িক বহিস্কার করে জানিয়েছিলেন-‘গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় ও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী সংসদের এক জরুরি সভায় এই ছয় নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বহিষ্কারের আগে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি সকালে জেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বহিষ্কৃত এই নেতাদের নেতৃত্বে সংগঠনের একাংশ বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা দেয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা যুগ্ম সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাপ্পা বলেছিলেন, বর্তমান জেলা কমিটি অনেক আগেই মেয়াদ পেরিয়েছে। সভাপতি সম্পাদক একের পর এক অনৈতিক, সংগঠনের চেতনা ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সবাইকে বিব্রত করছেন।
অন্যদিকে বহিষ্কারের ১৩ মাস পর সাংগঠনিক পদবী ফিরে পাওয়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বাপ্পা আবেগাপ্লুত কন্ঠে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের শ্রম, ত্যাগ এবং কাজের মূল্যায়ন করেছেন, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। গত ১৩ মাসের দুর্বিসহ সময় কাটিয়ে আমরা আবার সংগঠনের কাজে ফেরার সুযোগ পেয়েছি এবং এর মাধ্যমে জননেতা দীপংকর তালুকদার ও হাজী মুছা মাতব্বরের হাতকে আরো শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখতে পারব।