নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, পানছড়ি ও দীঘিনালা গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাঙামাটি শহরের পৌরসভাস্থ পার্বত্য অধিকার ফোরামের জেলা কার্যালয়ের সামনে বিকাল ৫.২০ মিনিটে পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রপরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নাজিম আল হাসান ও কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃবাকি বিল্লাহ্’র পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বেগম নূরজাহান, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর কামাল, পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোঃহাবিবুর রহমান হাবিব, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবছার উদ্দিন, কলেজ শাখার সভাপতি মোঃমুমিনুল ইসলাম।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভয়াল ২৯শে এপ্রিল। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা,পানছড়ি গণহত্য দিবস। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন। ১৯৮৬ সালের এই দিনে মাটিরাঙ্গা ও পানছড়িতে বসবাসরত বাঙালীদের জীবনে নেমে আসে নৃশংস, বীভৎস, ভয়ঙ্কর ও বিভীষিকাময় এক কালরাত্রি। রাত আনুমানিক ৯টায় বর্বর তৎকালীন শান্তিবাহিনী নিরস্ত্র নিরীহ বাঙালীর ওপর হিংস্র দানবের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেদিন পার্বত্যবাসী প্রত্যক্ষ করেছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসের এক নৃশংস বর্বরতা। ঘটনার ৩৩ বছর অতিবাহিত হলেও কোন বিচার পায়নি স্বজন হারানো পরিবার গুলো।
বক্তারা আরো বলেন, পানছড়িতে সে সময় ৬হাজার ২শত ৪০টি বাড়িসম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে গৃহহীন হয়ে পড়ে হাজার হাজার পরিবার। জেএসএসের সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা সেদিন এতগুলো মানুষকে হত্যা করতে একটি বুলেটও ব্যবহার করেনি। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জবাই করে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, বেয়নেট ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে খোঁচিয়ে খোঁচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে।
বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেন।