কারে রেখে কারে দিবো, সবাইতো গরিব, পেলাম শুধু ৩০টি কার্ড-মহিলা কাউন্সিলর রুপশী দাশ।

435

শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমন, রাঙ্গামাটিঃ-কারে রেখে কারে দিবো, সবাইতো গরিব পেলাম শুধু ৩০টি কার্ড এই দুঃখ নিয়ে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর রুপশী দাশ। তিনি বলেন, আমি চাই যারা হতদরিদ্র মানুষ আছে তাদেরকে কার্ড দিতে। কিন্তু আমাদের পৌর এলাকায় অনেক দুস্থ পরিবার আছে যারা দিনে এনে দিনে খায়। তাদের এই দূঃসময়ে আমাদের সাহায্যের জন্য পর্যান্ত কার্ড প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অসহায় দিনমজুর, দুস্থ মানুষের জন্য সরকার কর্তৃক স্বল্প বরাদ্ধের এইসব ত্রান নিয়ে বিপাকে পড়া রাঙ্গামাটি পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলররা সবাই এই নিয়ে চিহ্নিত।
রাঙ্গামাটি পৌরসভা কর্তৃক এই করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য নয় ওয়ার্ডের জন্য ১২মেট্রিক টন বরাদ্ধ করা হয়। এই

বরাদ্ধকৃত ত্রান পৌরসভার নয় ওয়ার্ডের নয় জন কাউন্সিলর এবং তিন জন মহিলা কাউন্সিলরের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হয়। এতে পুরুষ কাউন্সিলররা ওয়ার্ড প্রতি ১০০টি ত্রানের কার্ড এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলররা ওয়ার্ড প্রতি ৩০টি করে কার্ড পেয়েছে। আর এই এসব ত্রানের কার্ড বিতরণ নিয়ে বিপাকে পরেছে কাউন্সিলররা।

প্রতি ওয়ার্ডে অসহায় দুস্থ প্রতিবন্ধি মানুষ এই ত্রান পাওয়ার মত পরিবার আছে ৩০০ হতে ৪০০টি। কিন্তু বাছাই করে এদের মধ্যে যখন ১০০টি পুরুষ এবং ৩০টি মহিলা কাউন্সিলর দ্বারা ত্রান বিতরন করা হয় এবং পরবর্তীতে যখন বাকিরা না পেয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ করে তখন বিপাকে পরতে হয় এইসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের। তখন নানামুখি প্রশ্নের শিকার হতে হয় তাদের।
এই নিয়ে রাঙ্গামাটি পৌরসভার ১,২,৩নং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জানান, আমাদের পৌরসভা থেকে দেওয়া ত্রানের স্বল্প পরিমানের ত্রান নিয়ে পৌরবাসীর কাছে পৌছে দিতে গিয়েও আমাদের নানামুখী প্রশ্নের সম্মুহীন হতে হয়। পৌরওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষ তো গরিব প্রতিবন্ধী। আর আমার হাতে আছে ৩০টি ত্রানের কার্ড। আমি এই কার্ডগুলো কারে রেখে কারে দিবো। সবার তো আর মন রাখতে পারছি না। আমার হাতে তো কিছু নেয়। করোনা ভাইরাস মোকামেলার আমাদেরকে পৌরসভা থেকে যা দিয়েছে তাই বিতরণে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যায়।

এদিকে রাঙ্গামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দীন বলেন, এই পৌর এলাকায় প্রায় ৬২ হাজার মানুষের বসবাস করছে। এই পৌর এলাকায় অসহায় দিনমজুর, প্রতিবন্ধী, দুস্থ মানুষের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। আমরা এই পৌরসভায় যে পরিমান বরাদ্ধ পেয়েছি তা বিতরণ করে আমাদের পৌরবাসীর কিছুই হবে না। তাই আমরা সরকার এবং প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যাতে করে আমাদের পৌরসভার যারা হতদরিদ্র মানুষ প্রতি ঘরে ঘরে চাউল, ডাল, আলু থেকে শুরু করে সরকার থেকে যা আসে তা আমরা দিতে পারি এই ব্যবস্থা করার আহবান জানাচ্ছি।