রাঙ্গামাটিতে গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক বিনষ্টকারী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে-মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাহ

17

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটিতে গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক বিনষ্টকারী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাহ। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বড়াবই ভালো। কিন্তু গুটিকয়েক দুষ্ট প্রকৃতির লোক পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেষ্টা চালায় তাদের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খাগড়াছড়ির সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সভায় এ তিনি এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবায়দা আক্তার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের সহ-সভাপতি নিরূপা দেওয়ান, রাঙ্গামাটি জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা জাহাঙ্গীর, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার আল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক বলেন, আজ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই দূর্গোৎসবের রাঙ্গামাটির ৪৫টি পূজা মন্ডপে প্রশাসনের সর্বাত্মক নজরদারী রয়েছে। এছাড়া আগামী ৬ তারিখে প্রবারণা উৎসবকে ঘিরে রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন বিহারে প্রবারণা উৎসব অণুষ্ঠিত হবে। তার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে একটি মহল পাহাড়কে অশান্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডি আমাদের নজরদারীতে রয়েছে। রাঙ্গামাটিতে গুজব সৃষ্টিকারী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান রয়েছে। তাই যারা এই কাজ গুলো করার চিন্তা করছেন তাদেরকে সাবধান হওয়ার জন্য আহবান জানান তিনি।
সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন ফ্রন্ট, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।