থমথমে খাগড়াছড়ি ১৪৪ ধারা বলবৎ, মাঠে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ৭ প্লাটুন বিজিবি

20

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার জেরে কয়েকদিনের অবরোধ, মিছিল ও সহিংসতার পর খাগড়াছড়িতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, মহাজন পাড়া, নারিকেল বাগান, চেঙ্গী স্কোয়ার ও শহীদ কাদের সড়কে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় স্বনির্ভর ও নারিকেল বাগান এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানে হামলার ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি অবনতির পর খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তা বলবৎ আছে। ৭ প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন মোতায়েন রয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়েছে। রাতে খাগড়াছড়ির একটি বৌদ্ধ বিহারে নাশকতার প্রস্তুতিকালে ৩ যুবককে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এই ঘটনায় সাজেক ভ্রমণে যাওয়া প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়েন। পরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তারা খাগড়াছড়ি এসে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যান।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কেউ গুজবে কান দেবেন না। সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি। এদিকে রবিবার থেকে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হওয়ায় জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শায়ন শীল (১৯) নামে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা।