খাগড়াছড়ির কলেজ ছাত্রী বর্ষা দেওয়ানের উন্নত চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর আর্থিক সহায়তা প্রদান

22

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী বর্ষা দেওয়ানের উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন।
বর্ষা দেওয়ান দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত। তাঁর দীর্ঘ মেয়াদী উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৪ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয় এবং উন্নত চিকিৎসা চালিয়ে নিতে আরও ৩ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। বর্ষা দেওয়ানের পরিবার খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নে চিকিৎসা সহায়তা চেয়ে আবেদন করলে মানবিক বিবেচনায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন সদর দপ্তরে চিকিৎসাধীন থাকা অসুস্থ শিক্ষার্থী বর্ষা দেওয়ানের পরিবারের কাছে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ (এইচডিএমসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি)।
এ সময় খাগড়াছড়ি সদর জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল খাদেমুল ইসলাম (পিএসসি), খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের সকল স্টাফ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বর্ষা দেওয়ান খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের একজন নিয়মিত ছাত্রী। ১৪ অক্টোবর ২০২৪ শারীরিক কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন এবং শারীরিক অসুস্থতার জন্য অষুধ দেন।
পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয় পার্ক সাইড হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার ইকো টেস্ট রিপোর্টের মাধ্যমে এসএলই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অবগত করেন এবং জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রামে চিকিৎসা প্রদানের জন্য পরামর্শ দেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. এ. বি. কে বশীর উদ্দীন (সায়েম) এর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২৭ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
কিছুদিন পরে পুনরায় বর্ষা দেওয়ান অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে আবারও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ ডিসেম্বর ২০২৪ মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করানো হয় এবং ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত নেফ্রোলজী বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়াও একই বিভাগে ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্ষা দেওয়ানকে ডাক্তারের পরামর্শে ঘাড়ের মাংস টেস্ট, কিডনি বায়োপ্পী, বিভিন্ন ব্লাড টেস্ট, এএনএ টেস্ট, এনটিডিএস ডিএনএ টেস্ট করার মাধ্যমে মারাত্মক এসএলই রোগ শনাক্ত করা হয়।