॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কচুরিপানায় ভরে গেছে। বাঘাইছড়ি, বরকল ও বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্ত থেকে ভারী বর্ষনে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সাথে ভেসে আসছে কচুরিপানায় জঞ্জাল। এতে প্রতিবন্ধকতায় পড়েছে রাঙ্গামাটি শহরের সঙ্গে ৬টি উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কাপ্তাই হ্রদের নৌপথ। এছাড়া বরকল, জুরাছড়ি বিলাইছড়ি ও কাপ্তাইয়ে হ্রদের পানিতে বিশাল অংশ জুড়ে কচুরিপানার বিস্তাার ঘটায় নৌযান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত বর্ধনশীল কচুরিপানায় বাড়ছে সাপের প্রকোপ।
বর্ষাকালে উজান থেকে পানি নামার কারণে কচুরিপানার পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়। এতে কাপ্তাই হ্রদের পাড়ের এলাকার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ে। অচল হয়ে পড়ে কাপ্তাই হ্রদের নৌ যাতায়াত ব্যবস্থা। ইঞ্জিন চালিত বোট ছাড়া সাধারণ নৌকায় কোথাও যাওয়ার উপায় থাকেনা। ফলে পাহাড়ে উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে খরচ বাড়ে পাশাপাশি তিন গুণ বেশি সময় লাগে। দীর্ঘ নৌপথ জুড়ে কচুরিপানার জটের কারণে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে নৌকায় করে স্কুলে যেতে পারেনা। সবচেয়ে দুর্ভোগ বাড়ে হাটের দিনে। কচুরিপানা পার হওয়ার জন্য ভোরে বের হতে হয়। কচুরিপানার স্থান পার হতে গিয়ে অনেক সময় বোটের যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়।
কাপ্তাই হ্রদে কীভাবে কচুরিপানা এসেছে তার সঠিক তথ্য কোথাও পাওয়া যায়নি। তবে হ্রদের তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের মতে, ২৫-৩০ বছর আগেও হ্রদে কচুরিপানা ছিল না। তখন হ্রদের বিভিন্ন স্থানে নৌকায় স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করা যেত। স্থানীয় লোকজনের মতে, সম্ভবত হ্রদে কচুরিপানা প্রবেশ করেছে ভারত থেকে।
প্রথম অবস্থায় কচুরিপানার সমস্যার বিষয়টি কেউ গা করেনি। এখন প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই হ্রদে কচুরিপানা জঞ্জাল সৃষ্টি করে মারাত্মকভাবে নৌ চলাচল ব্যাহত করছে। কচুরিপানার বিরূপ প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কচুরিপানা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের নৌপথ অচল হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।