॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র আদিবাসী স্বীকৃতি দাবি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০ সংশোধন পূর্বক জাতি বৈচিত্র সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অধ্যাদেশ ২০২৫ (প্রস্তাবিত)” প্রণয়নের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি), রাঙ্গামাটি জেলা শাখা।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে কাঠালতলী থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের বনরুপা পুলিশ বক্সের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপি’র রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মো. সোলায়মান, পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, বরকল উপজেলা সভাপতি তসলিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা প্রচার সম্পাদক ইসমাঈল গাজী, লংগদু উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হোসেন, পিসিসিপি পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংবিধান বিরোধী ‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার ও প্রচার বন্ধে সুস্পষ্ট রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা প্রদান করতে হবে এবং কোনো ব্যক্তি যদি দায়িত্বে থেকেই রাষ্ট্রীয় নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অধিকার সংরক্ষণ হোক সংবিধানিক কাঠামোর ভেতরে-সাংগঠনিক আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে নয়। যা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে জাতিগত রাজনীতি উস্কে দিতে পারে।
পাহাড়ে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বন্ধসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহবান জানান বক্তারা। তারা যদি বিতর্কিত কোন সিদ্ধান্ত নেয় পাহাড়ের বিষয়ে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) দেশ প্রেমিক ছাত্র-জনতাকে নিয়ে দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে তুলবে। তাই পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালি ও অন্যান্যে জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহাবস্থান ও সমবিকাশ নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করার দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।