থানচিতে কচ্ছপ গতিতে মডেল মসজিদ নির্মানের ৭ বছর

9

॥ থানচি প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের থানচি উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মানের সংশ্লিষ্ঠ গণপূর্ত বিভাগের তদারকি ছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একাই যাই ইচ্ছা কাজ করার পর ও কচ্ছপ গতিতে ৭ বছর পার হলে ও মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এখন ও টাইলস, রঙ, প্লাস্টার লাগানো হয়নি। সাধারণ মুসল্লীদের নামাজ আদায় নিয়ে শংঙ্খা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগ প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার ব্যয়ের ২০১৯-২০ সালে মডেল মসজিদ নির্মাণের মেসার্স ফারুক এ্যান্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কার্যাদেশনুসারে বাস্তবায়নের কথা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সারা দেশের লগ-ডাউন থাকায় ২০২২ সালে মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজের ১ম/ ২য়/তৃতীয় বারের মতো নির্ধারিত সময় পার হয়েছে বর্ধিত সময় চেয়ে ৭টি বছর পার হলে ও উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণে সমাপ্ত করতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে উপজেলা পর্যায়ে তিনতলা ভবন নির্মাণ কাজের এখন ও টাইলস, রঙ, প্লাস্টার, সৌচারগারের কমেট, পানির পাইপ, টাইপ করানো বা লাগানো হয়নি। নানান কাজের হযবরল অবস্থা রয়েছে। স্থানীয়রা অনেকে অভিযোগ করেন, নিন্মমানের বালির, সিমেন্ট, রড, নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও গণপূর্ত বিভাগের কোন প্রকার প্রকৌশলী ছাড়া ছাঁদে, ফ্লোরের ঢালাই করতে ও দেখা গেচ্ছে।
উপজেলা সদর জামের মসজিদের ঈমাম, মোল্লানা মোহাম্মদ আনিচ উল্লাহ মোবারক বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন এত দেরি হচ্ছে? কাদের গাফিলতির জন্য এত দেরি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। মরহুম রহমত আলী গ্রামে মোহাম্মদ ইউছুপ বলেন, পাশের উপজেলা আলিকদম, লামা ও রোয়াংছড়িতে মডেল মসজিদ উদ্বোধন হয়েছে। আমাদের উপজেলার মসজিদের কাজ আটকে আছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় উপজেলাবাসী নান্দনিক স্থাপনার মসজিদটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মডেল মসজিদ নির্মাণকাজের ঠিকাদার ফারুক আহম্মদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির ও পাহাড়ী জনপদ কারনে মালামাল কেরিং করার, পর্যাপ্ত নির্মান শ্রমিক পাওয়া যায়নি তাই সঠিক সময়ের সমাপ্তি করতে বিলম্বীত হচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ করার আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের বান্দরবান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মসজিদের স্থান নির্ধারণ, ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা কারণে নির্মাণকাজে কিছুটা ধীরগতি তৈরি হয়েছে। জমি নিয়ে কিছু জটিলতা কাটিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে রুমা ও থানচি মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অভিহিত করা হয়েছে।