জাতীয় পুরস্কার পেল খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ডিসি পার্ক

17

॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার মরাডলু মৌজায় অবৈধ দখলদারদের থেকে উদ্ধারকৃত ১৬৫ একর জমিতে গড়ে উঠা” মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার এন্ড ইকো ট্যুরিজম পার্ক”কে ১০০ বিলুপ্ত প্রজাতির ২৫ হাজার বৃক্ষ রোপণ করে একটি অনন্য ইকো ট্যুরিজম স্পট গড়ে তোলায় এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসে জাতীয় পুরস্কার অর্জনে সক্ষম হয়।
বুধবার (২৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও অর্থনীতি সমৃদ্ধকরণে এই পার্কটিকে একটি অনন্য ইকো ট্যুরিজম স্পট হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মানিকছড়ি ডিসি পার্কে ১০০ প্রজাতির ২৫ হাজার গাছের চারা রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ এই উদ্যোগকে স্বীকৃতি হিসেবে
“বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪ ” এর জন্য ডিসি অ্যাডভেঞ্চার এন্ড ট্যুরিজম পার্ককে মনোনীত করা হয়। ফলে গতকাল বিশ্ব পরিবেশ দিবসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান-এর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া।
উল্লেখ যে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে তৎকালীন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপচন্দ্র বিশ্বাসের নির্দেশে তৎকালীন ইউএনও রুবাইয়া আফরোজ উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের মরাডলু মৌজার অন্দরে কতিপয় ব্যক্তির জবর-দখলে থাকা ১৬৫ একর উদ্ধার করেন।
পরবর্তী ২০২৩ সালে সাবেক জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরীর নিরলস প্রচেষ্টায় “মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার এন্ড ইকো ট্যুরিজম পার্ক” নামকরণ করে সেখানে ১০০ বিলুপ্ত প্রজাতির ২৫ হাজার নানা প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করা হয় ।
পরবর্তীতে ইউএনও সাদিয়া নূরীয়া, তাহমিনা আফরোজ ভুঁইয়া এটিকে আরও নয়নাভিরাম ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে রুপ দিতে এবং পর্যটক বান্ধব করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে জেলার আকর্ষণীয় পর্যটন শিল্পে রুপ দিতে উন্নয়ন অব্যাহত রাখেন। এরই অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪ প্রাপ্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।
বুধবার (২৫ জুন) পুরস্কার গ্রহণ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আফরোজ ভুঁইয়া অর্জিত পুরস্কার অর্জনে সাবেক ও বর্তমান জেলা প্রশাসক, ইউএনও, বনবিভাগের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট অফিস স্টাফ, জনপ্রতিনিধি, সংবাদকর্মী, পর্যটকসহ সকলের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।