কাপ্তাই সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পানির লাইনের বৈদ্যুতিক তার চুরি, ক্যাম্পাস, পানি নেই ছাত্রাবাস ও শিক্ষক ভবনে

10

॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥
কাপ্তাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পানির লাইনে সংযোগ দেয়ার বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈদ্যুতিক তার চুরি হবার ফলে সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সমগ্র ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাস, শিক্ষক ভবন এবং আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ছাত্র শিক্ষক সবাই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ রুপক কান্তি বিশ্বাস জানান, গভীর রাতে ইনস্টিটিউটে সরবরাহকারী পানির লাইনের প্রায় ৯০ ফুট সংযোগ তার চুরি হয়। বৈদ্যুতিক তার চুরি হবার পর থেকে সমগ্র ইনস্টিটিউটে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক মন্ডলী পানির কষ্ট ভোগ করছেন। চুরি হওয়া বৈদ্যুতিক তারের মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা হবে বলেও তিনি জানান।
ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মোঃ রহমত উল্ল্যাহ জানান, চলতি বছর আরো ২ বার এভাবে বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার ইনস্টিটিউটের বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি হয়েছিল। কাপ্তাই উপজেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এভাবে ইনস্টিটিউটে বৈদ্যুতিক তার চুরির বিষয়টি একাধিকবার তুলে ধরা হয়েছিল। এ ব্যাপারে কাপ্তাই থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
ইনস্টিটিউটে ছাত্রাবাসে অবস্থানকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, দুর থেকে মোটরের সাহায্যে পানি আনয়নের জন্য যে বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করা হয় সেটিই চুরি গেছে। ছাত্ররা বলেন, যে লাইন থেকে পানি আনা হয় সেই পানি শুধু ইনস্টিটিউটের ছাত্র শিক্ষকরাই ব্যবহার করছেন না। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও এই বিদ্যুৎ সংযোগে প্রাপ্ত পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু বৈদ্যুতিক তার সুরক্ষায় স্থানীয় উপকারভোগীদের কেউ এগিয়ে আসেন না। এমনকি তার চুরির পর উপকারভোগীদের কাছ থেকে খবরও পাওয়া যায়না। যদিও এখন উপকোরভোগীদের এলাকায়ও পানি সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
কাপ্তাই থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ অলি জানান সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তার চুরির বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপরে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ কারছে বলেও তিনি জানান।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ রুপক কান্তি বিশ্বাস বলেন, তার চুরির ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে পূর্বে কোন সুফল পাওয়া যায়নি। তারপরও পুনরায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ইনস্টিটিউটে পানি প্রাপ্তির জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন বলেও এই প্রতিনিধিকে জানান।