॥ মো. গোলামুর রহমান, লংগদু ॥
রাঙ্গামাটির লংগদুতে ব্যাংকের চেক জালিয়াতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মোঃ সাইফুল ইসলাম (সাইফুল কন্ট্রাক্টর)।
রবিবার (২২ জুন) ভুক্তভোগী মোঃ সাইফুল ইসলাম লংগদু প্রেস ক্লাবে তার পরিবারবর্গ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, স্থানীয় এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি ও তার স্ত্রী এ্যাডভোকেট রুমানা খানমের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক বা পারস্পরিক কোনো লেনদেন ছিল না। তবে আমি ব্যবসায়িক কাজে অভির মা”র থেকে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম পরক্ষণে আমাদের লেনদেনের সম্পর্ক ২০২০ সাল পর্যন্ত ভালোই ছিলো।
পরে সাইফুল ইসলাম ওর বৃদ্ধ মাকে ভয় দেখিয়ে চেক গুলো নিয়ে নেয়। আমি ওর মাকে তিন টি চেক দিয়েছিলাম ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ ২০ হাজার এবং ৬০ হাজার টাকার। এগুলো সংগ্রহ করে অভি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখিয়ে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, তার ও পরিবারের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে এই প্রতারণা ও হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সাইফুল ইসলাম ও তার সহধর্মিণী দুজনেই এ্যাডভোকেট হওয়ায় একই কৌশলে উপজেলার অনেক নিরীহ মানুষকে চেকের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার আরেক ভুক্তভোগী সরোয়ার হোসেন বলেন, ওমর ফারুক মাষ্টার তিনি এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভির বোনের জামাই হওয়ায় তার ক্ষমতা বলে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে দীর্ঘদিন যাবত হয়রানি করতেছে মামলাটি এখনো চলমান। এমতাবস্থায় আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মোঃ সাইফুল ইসলাম স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
তবে এবিষয়ে এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি”র সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, আসলে সত্যকে আড়াল করার জন্য তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছে। তিনি টাকা নিয়েছে এবং চেক দিয়েছে সবই সত্যি এটার সকল প্রকার তথ্য প্রমাণ দেখে মহামান্য আদালত চার বছর পর তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে এমন কি তিনি কিছু টাকা আমাদের দিয়েছেও। তার আজকের সংবাদ সম্মেলন শুধু সত্যকে আড়ালের লক্ষ্য।