রাজস্থলীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া পাইন্দং পাড়া বৌদ্ধ বিহারের খোলা আকাশের নিচে চলছে ধর্মীয় কার্যক্রম, বিহার নির্মানের দাবি পাড়াবাসীর

10

॥ হারাধন কর্মকার, রাজস্থলী ॥
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থানী উপজেলা গাইন্দ্যা ইউনিয়নে আকস্মিক আগুনে পুড়ে যাওয়া পাইন্দং পাড়া বৌদ্ধ বিহারের ধর্মীয় কার্যক্রম চলছে খোলা আকাশের নিচে। নতুন একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন পাড়াবাসী।
জানা যায়, গত চার মাস আগে রাতে আকর্ষিক আগুনে বৌদ্ধ বিহারটি আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে য়ায। ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের পাইন্দং পাড়ায় ২০০৫ইং সনে প্রায় ছোট বড় ৫০-৬০টি পরিবার নিয়ে পাড়া বাসির উদ্যোগে বিহারটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
পাড়া কারবারি ও বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মংচাখই মারমা বলেন, পাড়ার লোকজন অত্যন্ত গরিব ও অসহায়। দিনমজুর ও কৃষি কাজ আমাদের একমাত্র মাধ্যম। বিহার টি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় বর্তমানে আমাদের ধর্মীয় কার্যক্রম চলছে অনেকটা খোলা আকাশের নিচে। বিহারটি পুড়ে যাওয়ার পরে জেলা প্রশাসক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বরাবরে আবেদন করেছিলাম। জেলা প্রশাসক থেকে ১০ হাজার টাকা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে ৭ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে। সেটা দিয়ে কিছুটা টিন কিনে বহু কষ্টে বিহারের প্রার্থনা রুমটা টিক করার চেষ্টা করছি।
বিহারের অধ্যক্ষ পাইংদিতা মহাথের বলেন, গত চার মাস ধরে বহু কষ্টে বিহারের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। তাই একটি পাকা বিহার নির্মানে জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা, উন্নয়ন বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা বলেন, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে পাড়াটি অবস্থিত। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ দিয়ে বিহাটি নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তাই আগুনে পুড়ে যাওয়া পাইন্দং পাড়া বৌদ্ধ বিহার পূর্ণ নির্মানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, রাতে আগুন লেগে বিহারটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বড় ধরনের বরাদ্দ ছাড়া বিহারটি নির্মাণ করা অসম্ভব বলে মনে করেন। তাই বিহাটি নির্মাণের জন্য পার্বত্য জেলা উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।