দীঘিনালায় নদীতে নিখোঁজ ছাত্র ৬ঘন্টা পর উদ্ধার

5

॥ মো: সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মাইনি নদীতে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ এর ৬ঘন্টা পর মো. আরিয়ান (৮) নামে এক স্কুল ছাত্র শিশু উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৪জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কবাখালি বাজার সংলগ্ন দক্ষিন মিলনপুর এলাকায় কবাখালী ছড়া ও মাইনি নদীর মুখে ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ আরিয়ান উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মিলনপুর এলাকার মো. জাকির হোসেনের ছেলে। আরিয়ানের পিতা মো: জাকির হোসেন বলেন আমার তিন ছেলে মধ্যে আরিয়ান ২য় সকালে মক্তবে কোরআন শিক্ষা জন্য শিক্ষার জন্য যেতে বলে আমি বাড়িতে কাজে যাই। পরে মোবাইলে আমাকে একজন ফোন দিয়ে বলেন আমার ছেলে লাকড়ি ধরতে গিয়ে নদীতে পরে গেছে।
আরিয়ানের মা মো: জাহানারা বেগম বলেন, আয়িরান সকালে টয়লেটে যাবে বলে ঘর থেকে বাহির হয়েছে। টয়লেটে না গিয়ে তার বাবা বাননো লাকড়ি ধরার নোংগর নিয়ে নদীতে যায়। হঠাৎ করে নদীর পারের লোক জন চিৎকার করছে আরিয়ান নদীতে পরে গেছে।
কবাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম বদিউজ্জামান জীবন, মো: আরিয়ান আমার কাবাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনির ছাত্র ছিল। মৃত ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস সেন্টারের সেন্টশন অফিসার পংকজ বড়ুয়া বলেন, আমার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থালে আসি। তারপর ঘটনা স্থাল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত আমরা ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা খোঁজাখুজি করি। এতে কোন সন্ধান পাই নি। তাবে রাঙ্গাামাটি থেকে ফায়ার সর্ভিসের ডুবুরি টিম ইতিমধ্যে চলে কাজ শুরু করেছে। আধাঘন্টার মধ্যে নিখোঁজ আরিয়ানের মৃত দেহ উদ্বার করে।
দীঘিনালা থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মো: আলাউদ্দিন বলেন, ফায়ার সার্ভিস আরিয়ান নামে এক শিশু মৃত দেহ উদ্ধার করে থানায় খরব দেয়। আমরা এসে সুরতহাল করে মৃত দেহ পরিবারের সদস্য কাছে হস্তান্তর করা হবে। থানায় একটি অপমৃত মামলা করা হবে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কবাখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ঘটনা স্থালে গিয়ে নিহত আরিায়ানের পিতার কাছে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, আগে ৩০ মে মাইনী নদীতে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে তড়িৎ চাকমা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।