॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ির অনেক দুর্গম পাহাড়ি এলাকা রয়েছে যেখানে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাঁটতে হয় মাইলের পর মাইল। এমন সংগ্রামের বাস্তবচিত্র দেখতে শুক্রবার (১৩ জুন) সরেজমিনে বিভিন্ন সঙ্কটাপন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।
খাগড়াছড়ি জেলার উপজেলার দূর্গম গ্রামগুলোতে গিয়ে তিনি প্রত্যক্ষ করেন-নলকূপ নেই, পানি না থাকায় পাহাড়ি ঝর্ণা শুকিয়ে গেছে, শিশু-নারীদের প্রতিদিন কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় শুধুমাত্র পানির জন্য। অনেক সময় ময়লা ঝর্ণার পানি পান করে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রার্দুভাব দেখা দেয়। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হয় দূর্গম এই এলাকার মানুষদের।
পরিদর্শন শেষে স্থানীয় বসবাসকারীদের সাথে কথা বলেন তিনি। গ্রামের স্থানীয়রা বলেন, “বর্ষায় কিছুটা পানি পাওয়া যায়, কিন্তু শুকনো মৌসুমে বেঁচে থাকাটাই যুদ্ধ।” না পারতে ঝর্ণার ময়লা ও জীবানুযুক্ত পানি পান করে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। তাই আমাদের দাবী গভীর নলকুপ স্থাপনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা যাতে করে দেয়া হয়।
পরিদর্শন শেষে জেলা পরিষদের জিরুনা ত্রিপুরা মুঠোফোনে বলেন, এই সংকট কেবল পানির নয়, এটি একটি মানবিক সঙ্কট। অচিরেই পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে নতুন রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং প্রকল্প বা গভীর নলকূপ বসানো হবে। এই ব্যাপারে আমার পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করে যাবো। দূর্গম এইসব এলাকার মানুষ যাতে পানির জন্য আর কষ্ট ভোগ না করে তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পরিদর্শনের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকৌশল বিভাগ ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা স্থানীয় জনপদের পানির উৎস চিহ্নিত করে সম্ভাব্য সমাধানের পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছেন।
স্থানীয় বসবাসকারীরা জানান, চেয়ারম্যান নিজে এসে দেখেছেন, এখন অন্তত আমাদের কষ্টটা কেউ বুঝল। আমরা আশা করি, এবার কিছু একটা হবে। আর এতে আমাদের অনেক দিনের কষ্ট লাঘব হবে।