উন্নত মানের গুড় উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আরও বৃহত্তর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে-অনুপ কুমার চাকমা

21

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ইক্ষু সাথী ফসল, গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্পের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) অনুপ কুমার চাকমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ নাসিম হায়দার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি জোবাইদা ইসলাম, শুকুরছড়ি কৃষি ইনিস্টিউটের অধ্যক্ষ একরামুল উদ্দিন, সিভিল সার্জন নুয়েন খীসাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইক্ষু চাষী ও কৃষি অফিসারগন উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি বোর্ড চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) অনুপ কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ব্যাপকভাবে তামাক চাষ হয়। সর্বনাশা তামাকের আগ্রাসন ক্রমশ: বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইক্ষুর তুলনায় তামাক চাষে লাভকম হলেও তামাক কোম্পানীগুলো এ অঞ্চলের গরীব কৃষকদের মাঝে কিছু নগদ অর্থ ও উপকরণ বিতরণ করে তাদেরকে তামাক চাষের প্রতি আকৃষ্ট করছে। তামাক চাষ মাটির উর্বরতা শক্তি বিনষ্ট করা ছাড়াও পরিবেশ, বন ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পার্বত্য অঞ্চলে ইষ্ণুই একমাত্র ফসল যা তামাক চাষকে সাফল্যজনকভাবে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে গুড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে স্বাস্থ্যসম্মত ইক্ষুর গুড় উৎপাদন করে এই এলাকার গুড়ের চাহিদা পূরণ ও উদ্ধৃত গুড় দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ইক্ষু ও সাথী ফসল চাষ করে কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং ব্যাপক ভাবে উন্নত মানের গুড় উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আরও বৃহত্তর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।