টানা বৃষ্টিতে জুরাছড়ি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভেঙ্গে গেছে সংযোগ সড়ক, বিদ্যুৎ নেই ৫দিন

13

॥ সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি ॥
জুরাছড়ি উপজেলায় প্রবল বৃষ্টিপাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, স্কুল, বসত ঘর প্লাবিত এবং ধান্য জমিসহ বিভিন্ন শাক-সবজি ক্ষেত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জুরাছড়ি হেডকোয়ার্টার সংযোগ রাস্তা বড়ইতলী সংযোগ রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়াই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। জনজীবনে বেড়েছে জনদুর্ভোগ।
বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টিপাতে মৈদং ইউনিয়নের জামুরাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শীলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রূপময় চাকমা।
রবিবার (১ জুন) ঘুরে দেখা যায়, মৈদং ইউনিয়নের ফকিরাছড়ি, কাঁঠাল তুলি, জামেরছড়ি, শীলছড়ি, জুরাছড়ি ইউনিয়ন ঘিলাতলী, আমতলী, ডেবাছড়া, মিতিংগাছড়ি, সাপছড়ি, লুলাংছড়ি বালুখালী, বনযোগীছড়া ইউনিয়নের বহেরাছড়ি, পানছড়ি, চুমাচুমি, চকপতিঘাট এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উপজেলা হেডকোয়ার্টার সংযোগ রাস্তা বড়ইতলী-ধামাইপাড়া রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়াই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জি এম বদরুল হাসান জানান, ৪৪ হেক্টরের বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে ১৯২ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিপাতে জুরাছড়ি, বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নে বসত ঘর প্লাবিত এবং ধান্য জমিসহ বিভিন্ন শাক-সবজি পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়াই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।
এদিকে ৫দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন তাকায় জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন হোটেলে ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবী হোটেল মালিকদের। বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে রাখা সব জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এতে গ্রাহকদের চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার দাবী জানান তিনি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন থেকে ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো কেউ উঠেনি।