আবারো রাজস্থলীতে বন্য হাতির উৎপাত, আতঙ্কে গ্রামবাসী

10

॥ মো. আজগর আলী খান, রাজস্থলী ॥
রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় হঠাৎ করে বন্যাহাতির উৎপাত আবারো দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। কাপ্তাই হরিনছড়া হতে বন্য হাতির দল চিৎমরম এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন পাড়ায় নেমে এসব হাতি তান্ডব শুরু করতে পারে, বলে আশঙ্কা করছেন পাহাড়ে বসবাসকারী লোকজন।
এলাকাবাসীরা জানান, কাপ্তাইয়ের সীতাপাহাড় সীমান্তে রাজস্থলীর অংশে একদল বন্যহাতি উৎপাত শুরু করে। এতে পাহাড়ে থাকা ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্টির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা ভয়ে রাত দিন পার করছেন। কখন যে বন্য হাতির পাল আক্রমন করে এই নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, হটাৎ করে হাতির দল এসে এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে। যে কোন সময় উপজেলার তালুকদার পাড়া হাজীপাড়া নোয়াপাড়া, মদন কার্বারী পাড়া, কুইক্যাছড়ি পাড়া, খাগড়াছড়ি পাড়া, টাওয়ার পাড়া, ডাক্তার পাড়ায় নেমে তান্ডব শুরু করতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা প্রকাশ করেছেন। মদনপাড়া গ্রামবাসী এসব হাতির তান্ডব দেখেছেন বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মদন কার্বারী পাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে গুরি গুরি বৃষ্টি হচ্ছে পাহাড় থেকে নেমে বন্যহাতির দল পাড়ায় হানা দিচ্ছে, আমরা ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করেছি। কিছুদিন আগে বন্যহাতির দল উপজেলার কাইথাক পাড়ায় হামলা চালিয়ে এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলে। পরে মা হাতি শেবক প্রসব কালে মারা যায়।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, রাজস্থলীতে হাতির তান্ডবের বিষয়ে শুনেছি। এরপরও গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে এবং রাতে হাতে মশাল নিয়ে গ্রুপ করে গ্রামের লোকজনকে পাহারা দিতে হবে। তিনি বলেন, হাতি যে রাস্তা দিয়ে যাবে তাকে বাধা দেয়া যাবেনা। বাধা দিলে সে তান্ডব চালাতে পারে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
রাজস্থলী সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা তুহিনুল হক বলেন, হাতিকে উত্তেজিত করা যাবে না। সুতরাং রাতে মশাল বা ঢাকডোল পিটিয়ে তাদের তাড়াতে হবে। হাতি যে রাস্তা দিয়ে যাবে তাকে বাঁধা দেওয়া যাবে না। সবাই সতর্ক থাকবেন নিরাপদে থাকবেন। হাতি তাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লোকবল সংকট ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।