আফ্রিকান আনারস চাষ করে সফলতা পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা

3

॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥
সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন মাত্র এক বছর আগে। কিন্তু এরিমধ্যে তিনি আনারসসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। সাধারণ দেশী আনারস চাষের পাশাপাশি তিনি আফ্রিকান আনারস চাষ করেছেন। এক একর জমিতে প্রথমবারের মত আফ্রিকান আনারস চাষ করেছেন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কলিময় তনচংগ্যা। তিনি কামিলাছড়ি নামক স্থানে ১০ একর জমিতে বিভিন্ন ফলের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে দেশী আনারস বিক্রি করে প্রায় লাখ টাকা মুনাফা পেয়েছেন। এখন আফ্রিকান আনারস চাষের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, পাহাড়ের ঢালে সারি সারি আফ্রিকান আনারস গাছ। প্রতিটি গাছে আনারস ধরে আছে। সবগুলো আনারস বেশ হৃষ্টপুষ্ট। তবে এখনো পরিপক্ক হয়নি। আনারস গুলো পরিপক্ক হতে আরো কিছু সময় লাগবে। তবে সব গাছে ভালো ফলন এসেছে। এতে আগ্রহ বেড়েছে তার।
কালিময় তনচংগ্যা বলেন, ২০২৩ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। অবসর নেবার সাথে সাথে তিনি পাহাড়ে চাষ শুরু করেন। তিনি স্থানীয় ১০ জন মহিলাকে তাঁর বাগানের কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর বাগানের পাশের আরো একটি পাহাড়কে আনারস চাষের উযোগী করে তোলা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। কালিময় তনচংগ্যা বলেন, চাষবাষ করছি বিধায় আমি অনেক সুস্থ আছি। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে আমি পাহাড়ে উঠে যাই। প্রায় সারাদিন কাজের মধ্যে থাকি। অবসর সময়ে অহেতুক ঘোরাফেরায় সময় নষ্ট না করে নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। কালিময় তনচংগ্যা বলেন বেপারীরা আসছেন এখন থেকে তাঁর বাগানের আফ্রিকান আনারস কেনার জন্য। এক জোড়া আফ্রিকান আনারস বাগানেই কমপক্ষে একশ টাকায় বিক্রি হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, সরকারি সকল চাকরীজীবী অবশ্যই একদিন অবসরে যাবেন। কিন্তু অনেকেই অবসরে গিয়ে নানাবিধ রোগে শোকে দুর্বল হয়ে পড়েন। আর যদি কালিময় তনচংগ্যারমত নিজেকে চাষবাষের সাথে সম্পৃক্ত রাখেন তাহলে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে তেমনি আয়ের পথও সমৃদ্ধ হবে। তিনি কালিময় চনতংগ্যার বাগান পরিদর্শনে যাবেন বলেও এই প্রতিনিধিকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।