গবেষণার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম তরুণ বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপুর্ণ স্থান হতে পারে-পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

20

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, গবেষণার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম তরুণ বিজ্ঞানীদের অন্যতম স্থান হতে পারে। সম্ভাবনাময় পার্বত্য চট্টগ্রামের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে তরুণ বিজ্ঞানীদের ভুমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, দেশের এক দশমাংশ অঞ্চল জুড়েই রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম, এখানে গবেষণার জন্য অনেক বিষয় রয়েছে। তাছাড়া কাপ্তাই লেক এবং কৃষির সম্ভাবনা তরুণদের গবেষণাকে অনেকদুর এগিয়ে নিতে পারে।
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৩টায় জেলা পর্যটন কর্পোরেশনের হলরুমে ১৬-১৮ মে তিন দিনব্য্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স এন্ড বায়োসায়েন্স কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
রাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর ও আইসিবিসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো ও বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোঃ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( প্রাক্তন বিএসএমএমইউ) সম্মানিত উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহিনুল আলম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।
জৈব বিজ্ঞান, জৈব নিরাপত্তা এবং জৈব নিরাপত্তায় উদ্ভাবন এবং সহযোগিতা: একটি টেকসই স্বাস্থ্যসেবা এবং কৃষি বিষয়ক প্রতিপাদ্যকে ঘিরে আয়োজিত এই কনফারেন্সের প্লেনারী সেশনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট জীন বিজ্ঞানী ও বহুব্রীহি ধানের আবিষ্কারক ড. আবেদ চৌধুরী, আইসিডিডিআরবি’র বায়োসেফটি প্রধান ড. আসাদুলগণি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনিরা আহসান।
অনুষ্ঠানে রাবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন সূচনা আখতার, সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন ধীমান শর্মা, প্রক্টর ও ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদ্দাম হোসেন, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. নিখিল চাকমা, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুপ্রিয় চাকমাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরো বলেন, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগার বছরের পথচলায় এই আয়োজনের মাধ্যমে পার্বত্যবাসীর মনে আশার সঞ্চার হবে। তিনি বলেন, এই আয়োজন সম্ভাবনার বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে নতুন আঙ্গিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে সাহস জোগাবে।
অনুষ্ঠানে আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স এন্ড বায়োসায়েন্স কার্নিভালের প্রোগ্রামসূচি ও কনফারেন্সের লক্ষ্যে-উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
আন্তর্জাতিক কনফারেন্স এন্ড বায়োসায়েন্স কার্নিভালে প্রায় ৩৫০ এর অধিক বিজ্ঞানী এবং গবেষকগণ তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন। তরুণ বিজ্ঞানীরা উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন নতুন নতুন গবেষণা আইডিয়া এবং বাংলাদেশে বিজ্ঞান উন্নতিকল্পে থাকছে বিজ্ঞান বিতর্ক।
কনফারেন্সের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনের কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এখানে স্বাস্থ্য ও কৃষিতে ইনোভেশন বিষয়ে বাংলাদেশে যে গবেষণা হচ্ছে সেগুলোর ফলাফল উপস্থাপন ও তার প্রায়োগিক সম্ভাবনা বিষয়ক গবেষণাসমূহ উপস্থাপন করা হবে।