॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
আরএইচডিসি-ইউএনডিপি-ডব্লিউজিইটি প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্রুত গতি সম্পন্ন ফাইভার ইঞ্জিন বোট বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি যৌথ প্রকল্প “পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিস্থাপক উন্নয়ন (ইআরআরডি-সিএইচটি)” এর “পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন (ডব্লিউজিইটি)” (অন্তভুক্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের মেয়ে শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন) কম্পোনেন্ট-এর আওতায় রাঙ্গামাটি জেলার ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শহীদ মিনার ঘাটে শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ২০ অশ্ব শক্তির ইঞ্জিন চালিত ”ফাইভারগ্লাস বোট” হস্তান্তর করা হয়।
বোট হস্তান্তরের পুর্বে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। এই সময় প্রকল্পেটির জেলা কর্মকর্তা সুখেশ্ব চাকমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমঝোতা স্মারকের শর্তাবলি তুলে ধরেন এবং বোট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ওরিয়েন্টেসন প্রদান করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকাদার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, ইআরআরডি-সিএইটি প্রকল্পের জেন্ডার এন্ড কমিউনিটি কোহেসন চীফ মিজ ঝুমা দেওয়ান, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মিঃ প্রতুল চন্দ্র দেওয়ান, টিআইবি-এর রাঙ্গামাটি এরিয়া কোর্ডিনেটর মিঃ বেনজিন চাকমা এবং সভাপত্বি করেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মিজ বৈশালী চাকমা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক কৃষিবিদ কাজল তালুকাদার বলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ শিক্ষার মান উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এই বোটগুলো শিক্ষার্থীদের নিরাপদে যাতায়াত, উপস্থিতির হার বৃদ্ধি ও ঝড়ে পড়ার হার কমানোর জন্য সহায়ক হবে এমন আশা প্রকাশ করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে ওরিয়েন্টেশন অনুসারে আন্তরিকতার সাথে বোটগুলোর ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করার পরামর্শ দেন।