দীঘিনালায় সমলয় চাষাবাদের কম্বাইন হার্ভেস্টার যন্ত্রের সাহায্যে বোরো ধান কর্তন কার্যক্রম উদ্বোধন

17

॥ মো: সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
“কৃষিই সমৃদ্ধি” কৃষিই উন্নতি খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় উফশী বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদের (চাষাবাদকে সিঙ্ক্রোনাইজ করুন) ৫০ একর ব্লক প্রদর্শনীতে কম্বাইন হার্ভেস্টার যন্ত্রের সাহায্যে কর্তন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩মে) বিকালে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাস্তবায়নে বোয়ালখালী ইউনিয়নের কাটারুং ব্লকে তেভাংছড়া এলাকায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় উফশী বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদের (চাষাবাদকে সিঙ্ক্রোনাইজ করুন) ৫০ একর ব্লক প্রদর্শনীতে কম্বাইন হার্ভেস্টার যন্ত্রের সাহায্যে জমিনের ধান কর্তন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)মোঃ বাছিরুল আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দীঘিনালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন, উসহকারী কৃষি অফিসার মো: শামীমমুল আবরার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চাকমা, উপসহকারী কৃষি অফিসার সুদত্ত চাকমা।
উদ্বোধনকালে উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ বাছিরুল আলম, সমলয় পদ্ধতিতে কৃষক ধান চাষাবাদ লেবার লাগে না। মেশিনের সাহায্যে ধানের চারা রোপন ও ধান কর্তন করা এতে কৃষকের সময়ও ধানও বেশি উৎপাদন হয়। দীঘিনালা উপজেলায় কাটারুং ব্লকে প্রথম ৫০জন কৃষকের ৫০একর জমিতে প্রনোদনা মাধ্যমে ধানের চারা রোপন ও কর্তন করে দেয়া হয়েছে। কৃষক উপকৃত হলে উপজেলা ব্যপক হারে সমলয় পদ্ধতিতে ধানের চাষাবাদ বাড়ানো সম্ভব।
কাটারুং ব্লকের তেভাংছড়া উচ্চফলনশীল উফশী বোরো সমলয় চাষী শান্তি চাকমা বলেন, গত ৮জানুয়ারী এই ব্লকে ৫০জন কৃষক একসাথে বোরো ধান চাষ করছি, এখন আবার এক সাথে মেশিনের সাহায্যে ধান কর্তন করছি। আমি এক কানি (৪০শতক) জমিতে ধান চাষ করছিলাম ৩২মন ধান পেয়েছি অনেক ভালো ফলন হয়েছে। সমলয় পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপন করছি মেশিনে সাহায্যে কর্তন করছি মেশিনে সাহায্যে যার কারনে সময় ও খরচ অনেক কম লেগেছে।
মিটন চাকমা বলেন, সমলয় পদ্ধিত চাষা আমরা জনতাম না। আমি ৬০শত জমিন ধান চাষ করেছি ৪০/৪২মন ধান পেয়েছি। ধানের চারা রোপন ও ধান কাঁটার জন্য লেবার পেতে অনেক কষ্ট হত এবং মজুরী বেশি দিতে হয়। মেশিনে দিয়ে ধানের চারা রোপন ও পাঁকা ধান কর্তনে করতে কোন সমস্যা হয় না। খরচ আগের চেয়ে অর্ধেক কমে গেছে।