কাপ্তাই-রাঙ্গামাটি সড়কে বিপজ্জনকভাবে গড়ে উঠছে একের পর এক রেষ্টুরেন্ট

19

॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥
কাপ্তাই-রাঙ্গামাটি-ঝগড়াবিল সড়কটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে কারণে সবাইকে আকৃষ্ট করে। দৃষ্টিনন্দন সর্পিল ও আঁকাবাঁকা সড়টিতে সকল প্রকার যানবাহন চালালে স্বচ্ছন্দ ও আরাম বোধ করেন চালকরা। সড়কের একপাশে ছোটবড় অসংখ্য পাহাড় পর্বত। আরেক পাশে গভীর খাদ। অদুরে বিস্তির্ণ বিশালাকার কাপ্তাই হ্রদ। এই সড়কের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন শতশত যানবাহনে চড়ে হাজার হাজার পর্যটক কাপ্তাই আসছেন।
আর এই পর্যটকদের সুবিধার্থে সড়কের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো রেষ্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এসব রেষ্টুরেন্টে খাবারের জন্য পর্যটকদের ভীড়ও লেগে থাকে। কিন্তু অনেকগুলো রেষ্টুরেন্ট এমন ভয়াবহ ভাবে নির্মিত হয়েছে যার দিকে তাকালেই ভয় অনুভূত হয়। পাহাড়ের গভীর খাদ থেকে কাঠের খুঁটি দিয়ে পিলার তৈরি করে নির্মিত হচ্ছে একের পর এক রেষ্টুরেন্ট।
আর এসব রেষ্টুরেন্টে যখন অনেক পর্যটকের সমাগম হয় তখন মানুষের চাপে রেষ্টুরেন্ট গুলো দুলতে থাকে। মনে হচ্ছে এই বুঝি ভেঙ্গে পড়বে। আর একবার যদি এসব রেষ্টুরেন্ট ভেঙ্গে পড়ে তাহলে গভীর খাদে গিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরকম কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি হলে ভয়াবহ হতাহতের ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক সুশীল চাকমা বলেন, যেসব ট্যুরিস্ট কাপ্তাই আসেন তারা অনেকেই গভীর খাদের উপর নির্মিত এসব রেষ্টুরেন্টের অবস্থান সম্পর্কে অবগত থাকেন না। অনেকে রেষ্টুরেন্টে হৈচৈ করে সময় কাটান। এর ফলে যেকোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকেই যায়। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই তিনি এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
তবে রেষ্টুরেন্টের মালিকরা বলছেন, আমরা রেষ্টুরেন্ট যাতে ভেঙ্গে না পড়ে তার জন্য ভালোমানের গাছের খুঁটি ও রড দিয়ে পিলার তৈরী করে এবং একটার সাথে আরেকটা মজবুদ ভাবে জোড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ করেছি। যাতে করে কোন দূর্ঘটনা না হয়। কারণ কোন দূর্ঘটনা হলে আমরাই বিপদে পড়বো এবং আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই এইসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা সেই ভাবে রেষ্টুরেন্ট নির্মান করে পর্যটকদের আকৃষ্টি করছি। পর্যটকরাও এইসব রেষ্টুরেন্টে এসে কাপ্তাই হ্রদ ও পাহাড় দেখে আনন্দ উপভোগ করছেন।