বান্দরবানের থানচির জুমে কাজ করতে গিয়ে খেয়াং নারীর মৃত্যু, কারণ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে পুলিশ

38

॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥
বান্দরবানের দুর্গম থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের একটি গহীন জঙ্গল থেকে চিংমা খেয়াং (২৯) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৫ মে) বিকালে তিন্দু ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মংখ্যং পাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি জঙ্গল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত চিংমা খেয়াং একই এলাকার বাসিন্দা সুমন খেয়াংয়ের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের জননী।
ঘটনার পর সোমবার (৫ মে) রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে খেয়াং নারীর মৃত্যুর ঘটনার পর এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, স্থানীয়দের অনেকেই ধারণা করছেন, চিংমা খেয়াংকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার কারণে তাদের এই আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনার পরপরই মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস কনফারেন্স এর আয়োজন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার মো.শহীদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.আবু তালেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. আবদুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে বলে জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন গুজবে কান না দিয়ে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে পুলিশকে সহায়তা করার আহবান জানান পুলিশ সুপার।
সোমবার (৫ মে) চিংমা খেয়াং সকালে জুম চাষের জন্য পাহাড়ে যায়, কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় স্থানীয়রা তাকে খুঁজতে বের হন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তারা জঙ্গলে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পায় এবং তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়।
এদিকে এই ঘটনার পর তার স্বামী বাদী হয়ে আজ সকালে থানচি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।