॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য প্রথমবারের মতো আখাউড়া সীমান্ত পথে ভারতে গেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ করেন। এসময় তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভারতে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়।
একটি চিঠি সূত্র ও সন্তু লারমা সফর সঙ্গী সূত্র জানায়, প্রথমবারের মতো এই পথে তিনি ভারত যাচ্ছেন। সেখানে তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ছাড়াও ‘মাতৃ-পিতৃ তর্পন ও ধর্মীয় আচারাধি’ সম্পাদন অনুষ্ঠানে যোগদান করারও কথা রয়েছে তার।
এর আগে সন্তু লারমা সড়ক পথে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়ায় আসেন। পরে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কার্যাদি শেষ করে দুপুর ২টার দিকে তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পৌঁছান।
সাংবাদিকদের সন্তু লারমা জানান, প্রথমবারের মতো এই পথে তিনি ভারত যাচ্ছেন। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াও মাতৃ-পিতৃ তর্পণ ও ধর্মীয় আচারাদি সম্পাদন করবেন। পাহাড়ে নিরাপত্তাসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একবার আসুন, রাঙ্গামাটি ঘুরে দেখে যান। তবেই বুঝবেন। এর বেশি কোনো কথা বলতে আগ্রহ দেখাননি সন্তু লারমা।
এই পথেই তিনি দেশে ফিরে আসবেন বলে তার ব্যক্তিগত সহকারী শ্যামল লারমা নিশ্চিত করেছেন। তবে কখন আসবেন তা জানাতে পারেননি তিনি।
আখাউড়া স্থলবন্দরে দুইদেশের সীমান্তের শূন্য রেখায় সন্তু লারমাকে স্বাগত জানান আখাউড়া থানার ওসি তদন্ত শাহীনুর ইসলাম, ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সোহেল মাহমুদ ও আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার মোখলেছুর রহমান।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তিনি জনসংহতি সমিতির সভাপতি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম অধিবাসীদের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ ছাড়াও তিনি ১৯৯৯ সালে ১২ মে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করে আসছেন।