তিন দিনের ছুটিতে রাঙ্গামাটির সৌন্দর্য্য উপভোগ করে পর্যটকরা ফিরে যাচ্ছেন যান্ত্রিক জীবনে

6

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
তিন দিনের ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় থাকলেও শনিবার দুপুরের দিকে পর্যটকদের আনা গোনা কমে যেতে থাকে। পাহাড় বন আর স্বচ্ছ কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য্য উপভোগ করে পর্যটকরা ফিরে যাচ্ছেন যান্ত্রিক জীবনে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পর্যটন বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিলো পর্যটকে পরিপূর্ণ। হ্রদ-পাহাড়ে ঘেরা পার্বত্য রাঙ্গামাটি শহরের রূপ দেখতে সারা বছর হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে রাঙ্গামাটিতে। এবারের তিন দিনের সরকারী ছুটিতে দর্শনার্থীদের ভিড়ে জমজমাট ছিলো রাঙ্গামাটিতে। শহরের যান্ত্রিক কোলাহল ভুলে প্রকৃতির এই শহরে ছুটে এসেছেন হাজারো পর্যটক।
‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি ’খ্যাত পর্যটন ঝুলন্ত সেতু এই দুইদিন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছিলো। ঝুলন্ত সেতু ঘুরে-ফিরে আনন্দ উপভোগ করছেন পর্যটকরা। পর্যটকরা ভ্রমণ করছেন বিনোদনের জনপ্রিয় আরেক স্থান পলওয়েল ইকো পার্কে। ঝুলন্ত সেতুর পাশপাশি রাঙা রির্সোট, বার্গীলেক, আরণ্যকসহ অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলোতেও ভিড় জমতে দেখা গেছে।
শুধু তাই নয়, কাপ্তাই হ্রদে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় ঘুরে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন অনেকেই। হ্রদ, পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করে যান্ত্রিক জীবনের এক ঘেঁয়েমি দূর করছেন অনেকেই।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাঙ্গামাটির গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল উল্লেখযোগ্য। যেমন-সুবলং ঝরনা, কাপ্তাই হ্রদ, পলওয়েল পার্ক, আসামবস্তী-কাপ্তাই সংযোগ সড়ক সব পর্যটন স্পটে পর্যটকের আনাগোনা ছিলো চোখে পড়ার মতো। আবহাওয়া ভালো থাকায় পর্যটকরা স্পটগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটিয়েছেন বলে জানান তারা।
রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, তুলনামূলক ভাবে রাঙ্গামাটিতে ভালো পর্যটক এসেছে। সরকারি এবং সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত তিনদিনে রাঙ্গামাটিতে গড়ে প্রতিদিন দুই হাজার পর্যটক এসেছে। অর্থাৎ তিনদিনে প্রায় ছয় হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে। ঈদের ছুটি পর এইবার এত বেশি পর্যটকের সমাগম হয়েছেন বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে নিরাপত্তা এবং সেবার মান বজায় রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। পর্যটকরা যেন নিরাপদে ঘুরাফেরা করতে পারেন তার জন্য বাড়তি নজরদাবী রেখেছেন। আবারো লম্বা ছুটি পেলে পর্যটকরা রাঙ্গামাটির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসবেন বলে প্রত্যাশা স্থানীয়দের।