চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ-সমাবেশ

13

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীর মুক্তি ও রাঙ্গামাটিতে এক তরণী ধর্ষনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়িস্থ আদিবাসী ছাত্র সমাজ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে শহরের মহাজনপাড়ার সূর্যশিখা ক্লাব থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে পরে শাপলা চত্বর হয়ে খাগড়াছড়ি আদালত পাড়ার বটতলায় জড়ো হয়।
এসময় সমাবেশ অপহরনের জন্য ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করে অবিলম্বে অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীকে সুস্থ অবস্থায় দ্রুত মুক্তির দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচীর হুমকি দেওয়া হয়।
সমাবেশে বক্তারা অপহরণের জন্য ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করে অপহৃতদের উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি অপহরকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে রাঙ্গামাটির কাউখালিতে মারমা তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক মো. ফাহিমকে গ্রেফতার করে বিচারে আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রহেল চাকমা,খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী সমিতি বিকাশ চাকমা, খাগড়াছড়ি সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মায়া চৌধুরী, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের খাগড়াছড়ি সদর শাখার সভাপতি আকাশ ত্রিপুরা, বিএমসির সভাপতি উক্যনু মারমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি সুজন চাকমা ঝিমিট ও তুষন চাকমা প্রমূখ।
উল্লেক্ষ্য, বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বৈসাবি উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ৫ শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া হয়। এই ঘটনায় শুরু থেকে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করে আসছে সন্তু লারমার জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপন ত্রিপুরা। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। এদিকে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে যৌথ বাহিনী।