রাঙ্গামাটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসাহ উদ্দীপনার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

38

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গমাটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) ২৯ দিন সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায় ঈদ উদযাপন করছে। রাঙ্গামাটিতে ছয়টি ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার স্থানীয় পাঁচশো মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙ্গামাটির প্রধান প্রধান ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় তবলছড়ি কেন্দ্রীয় ঈদ গাঁ মাঠে। এখানে দু’দফায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায় এবং ২য় জামায়াত ৮.৪৫ মিনিটে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্যাহ প্রথম জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এসময় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ঈদের নামাজে অংশ গ্রহণ করেন।
এদিকে রিজার্ভ বাজার শহীদ আব্দুস শুক্কুর স্টেডিয়াম বড় একটি ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৯টায়। বনরূপা আদালত ভবন প্রাঙ্গনে প্রথম ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭.৪৫ মিনিটে এবং ২য় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়।
নামাজ আদায় শেষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাহ বলেন, পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দিনে সৃষ্টিকর্তার কাছে চাওয়া হচ্ছে পৃথিবীর সকল মানুষ ভালো থাকুক। আমাদের সকলের মনে এই ধারনা থাকা দরকার শুধু আমি ভালো থাকলে হবে না আমার পাশের বাড়ীর মানুষটিও যাতে ভালো থাকে সেই মনোভাব নিয়ে আমাদরেকে এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমান সরকার সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। যার যার ধর্ম যাতে সঠিক ভাবে পালন করতে পারে তার জন্য কাজ করছে সরকার। তিনি পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির সকল মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান যাতে সকল সম্প্রদায় মিলে সকল ধর্মের মানুষের মাঝে যাতে শান্তি ও সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় থাকে।
রাঙ্গামাটিতে ৬টি ঈদগাহ মাঠের পাশাপাশি জেলার প্রায় পাঁচশো মসজিদে এবার পবিত্র ঈদ উল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে হাজার হাজার মুসল্লী ঈদের নামাজ আদায় করেন। অন্যদিকে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটির প্রতিটি ঈদ জামায়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।