পানছড়িতে সশস্ত্র আঞ্চলিক দুই সংগঠনের গুলি বিনিময়ে এক গৃহবধু নিহত

25

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
দেশের প্রধান পর্যটন অঞ্চল ও সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে খ্যাত খাগড়াছড়ি পাহাড়ী অঞ্চল। আর সেই পাহাড়েই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সশস্ত্র দুই আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি গুলি বাড়ির বেড়া ভেদ করে রূপসী চাকমার পিঠে বিদ্ধ হয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়।
সোমবার (৩ মার্চ) খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা সদরের দক্ষিণ ধুধুকছড়ার হাতিমারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানছড়ির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও জনসংহতির সমিতি (জেএসএস) এর মধ্যে সংঘর্ষ সংগঠিত হলে গোলাগুলি শুরু হয়, এতে রূপসী চাকমা (২৬) নামের এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। নিহত হাতিমারা এলাকার হেমন্ত চাকমার স্ত্রী।
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সংঘঠনটির নেতৃত্বেদানকারী কেউ প্রকাশ্যে না থাকায় কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। জেএসএসের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতির মোবাইল ফোনে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফের) জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা অভিযোগ করে জানান, “সকালের দিকে হঠাৎ করে গ্রামে ঢুকে অতর্কিত ভাবে আমাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জেএসএসের সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা রূপসী চাকমা মারা যায়।”
নিহত নারীর মরদেহের একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রূপসী চাকমার স্বজনরা মরদেহ ঘিরে আর্তনাত ও কান্না করছেন। স্বজনদের কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, পানছড়ির দুর্গম এলাকা উত্তর দুদুকছড়ায় পাহাড়ের সশস্ত্র দুই আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত) এবং জেএসএসের (সন্তু) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনার খবর পেয়েছি। এতে দুই পক্ষের কেউ হতাহত না হলেও রূপসী চাকমা নামে একজন গৃহবধূ নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়। তবে এলাকাটি দুর্গম হওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে যাওয়া যায়নি। তবে এ নিয়ে নিহতের পরিবার, স্বজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কেউ অভিযোগ করেননি বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।