কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা জমিতে ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা

212

॥ লিটন শীল, জুরাছড়ি ঘুরে এসে॥
পানি কমে যাওয়ায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ভেসে ওঠা জলেভাসা জমিতে এখন চাষাবাদের ধুম লেগেছে। এতে বোরো ধানের আবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গেলে কাপ্তাই হ্রদের বুকে ও পাহাড়ি ঘোনায় ভেসে উঠলে দেখা দেয় বিস্তর চরাঞ্চল। ভেসে ওঠা এসব চরে ধানের চারা ও শাক-সবজির বীজ রোপণ করেন চাষিরা। বর্ষা মৌসুমে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদ জুড়ে জমে পলি; যা শীত মৌসুমের শেষে পানি কমতে থাকলে হ্রদের বুকে জেগে ওঠে চরাঞ্চলে।
রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলেভাসা এসব পলিজমি হয়ে ওঠে চাষাবাদ যোগ্য। আর এই সব জলে ভাসা জমিতে চাষিরা ভালোই ফলন পেয়ে থাকেন। হ্রদের জলেভাসা জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়ে চলে এপ্রিল পর্যন্ত। পলি ভরাট এসব জমিতে লাঙ্গল চাষ ছাড়াই ধান রোপণ করেন চাষিরা। তবে অনেক সময় চাষাবাদ করতে দেরি হলে বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে বহু জলেভাসা আবাদি ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে যায় বলে জানান চাষিরা।
রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদের জলেভাসা জমির চাষাবাদের পরিমাণ নির্ভর করে হ্রদের পানি উঠানামার ওপর। আর জলে ভাসা জমিতে চাষাবাদে কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। আর কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশক সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা।
এদিকে সরজমিনে রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় গিয়ে দেখা যায, ধান বীজ থেকে চারা সংগ্রহ করে কাপ্তাই হ্রদের জলেভাসা জমিতে রোপনের জন্য নৌকাযোগে নিয়ে আসছেন এক কৃষানি। আর এইসব চারা রোপন করবেন জলেভাসা জমিতে।