সাজেকে আগুণে ক্ষতিগ্রস্থ স্থান পরিদর্শন ও ঘটনা উদঘাটনে ৫ সদস্যের কমিটি

51

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
দেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদ্ঘাটনে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে তদন্ত কমিটির ৫সদস্যরা সাজেক ভ্যালির রুইলুই পাড়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ভয়াবহ আগুণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ঘটনা উৎঘাটনে বিভিন্ন আলামত পরিদর্শন করেন। তদন্ত কমিটি সাজেকে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তাও আলামত বের করার চেষ্টা চালায়।
ভয়াবহ আগুণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে তদন্ত কমিটির মধ্যে রয়েছে আহ্বায়ক রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. মোবারক হোসেন, সদস্য সচিব বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তারসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় কমিটির সদস্যরা অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে আগ্নিকান্ডের কারন উদঘাটনে বিভিন্নজনের সাথে কথা বলেন।
এই বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহবায়ক মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, সংঘঠিত অগ্নিকান্ডের উৎস ও কারণ উদঘাটনের জন্য আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথেও কথা বলেছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের প্রতিবেদন এবং সুপারিশ প্রদান করবো।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, দূর্যোগ ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের থেকে যেসব ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আগুণে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে এবং সেই সাথে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরো কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করা যায় তার জন্য জেলা প্রশাসনের পরামর্শ ভিত্তিতে তা করা হবে।
তবে আগুনের কারন সম্পর্কে তদন্ত কমিটি নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারে নাই। ধারনা করছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট, সিগারেট অথবা রিসোর্টে থাকা দাজ্যপদার্থ থেকেই আগুন লাগতে পারে।
সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১টায় সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই পর্যটন কেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজ ও বসতঘরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় শতাধিকের অধিক রিসোর্ট-কটেজ ও বসতঘর। সাজেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় খাগড়াছড়ি থেকে অন্তত ১১টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার প্রায় তিন ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।