॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥
শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার কারণে আওয়ামীলীগ নেতার দায়ের করা মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো ও হয়রানীর অভিযোগ করেছে বান্দরবানের বিএনপির এক নেতা। সোমবার (২৭ জানুয়ারী) দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা দীপক বড়ুয়া এ অভিযোগ করেন।
এসময় তিনি বলেন, আমি ১৯৭৮ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং বিএনপির প্রার্থী হয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে ১২ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। সে সুবাদে এলাকায় আমিসহ বিএনপির ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই জনপ্রিয়তায় ঈষান্নীত হয়ে আমি ও আমার পরিবারকে ফাঁসাতে ও হয়রানী করতে আওয়ামীলীগের ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়ার মাধ্যমে আমাকে ও আমার পরিবারকে ইমন বড়ুয়ার হত্যার মামলায় জড়িয়ে দেয়। অথচ ২০১৯ সালে মধ্যপ অবস্থায় ইমন বড়ুয়া নামে স্থানীয় এক উচ্ছৃঙ্খল যুবক রাস্তায় পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যুকে হত্যাকান্ড সাজিয়ে মৃত ব্যক্তির বোন কক্সবাজার জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী ও ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ঘনিষ্ট তান্নী বড়ুয়া বাদী হয়ে আমি ও আমার অপর দুই ভাইকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এই মিথ্যা মামলায় আমি ও আমার ভাই দীর্ঘ দেড় বছর কারাভোগ করার পর জামিনে মুক্ত হই। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকার পতনের পরও স্বৈরাচারের দোসর ইমন বড়ুয়ার মাতা পুতুল রানী বড়ুয়া আমার নামে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এসময় তিনি কক্সবাজার পৌর মহিলা যুবলীগের নেত্রী তান্নি বড়ুয়ার দায়েরকৃত রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ আওয়ামীলীগের গডফাদার ফ্যাসিবাদ ডালিম বড়ুয়াকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এন এ জাকির, দৈনিক প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যোতি চাকমাসহ বান্দরবানের কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এপ্রিল মাসে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয় পাড়া এলাকায় ইমন বড়ুয়া নিহতের ঘটনায় দীপক বড়ুয়া সহ ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করা হয়।