॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠনে জেলার ৪ উপজেলা থেকে কোনো প্রতিনিধি না রাখায় কাউখালী, জুরাছড়ি, বরকল ও রাজস্থলী থেকে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের কাছে অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
এসময় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা, উন্নয়ন ও সমাজকর্মী জসিম উদ্দিন, বরকলের বাসিন্দা পুলিন বিহারী চাকমা, কাউখালীর বাসিন্দা মো. তারা মিয়া, রাজস্থলীর রণজিৎ তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে প্রচলিত ‘রেওয়াজ লঙ্ঘন’ করে এবার ১৫ সদস্য বিশিষ্ট পুনর্গঠিত পার্বত্য জেলা পরিষদে রাঙ্গামাটির দুর্গম, অনগ্রসর, পশ্চাৎপদ ও সুবিধাবঞ্চিত চার উপজেলা থেকে সদস্য রাখার দাবি জানানো হয়েছে।
স্মারকলিপি পেশকারী নেতৃবৃন্দ বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার ছয়টি উপজেলা থেকে ১৫ জন প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়েছে, অথচ চার উপজেলা থেকে একজনও প্রতিনিধি নেই। এতে করে চার উপজেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে বঞ্চিত, অবহেলিত ও বিমাতাসূলক আচরণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদ পুনর্গঠনে পার্বত্য উপদেষ্টার স্বেচ্ছাচারিতা, পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতিসূচক মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে। সদস্য নির্বাচনে রহস্যপূর্ণ পদ্ধতিকে আমরা দুর্নীতির ছলাকলাপূর্ণ, দুরভিসন্ধিমূলক এবং এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতি প্রচ্ছন্ন হুমকি বলে মনে করছি।
স্মারকলিপিতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার ও সদস্য দেবপ্রসাদ দেওয়ান ছাড়া বাকি ১৩ সদস্যের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর মধ্যে, অনেকের বিরুদ্ধে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগ, দলীয় পদবী, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি, পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে সখ্যতা, সাবেক সহকর্মী ও সম্পর্কে দেবর-ভাবিকেও একই পরিষদে সদস্য মনোনীত করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর সাবেক কৃষি কর্মকর্তা ও রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতির বড় ভাই কাজল তালুকদারকে চেয়ারম্যান মনোনীত করে ১৫ সদস্যের নতুন অন্তর্র্বতীকালীন পরিষদ গঠন করে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। পুনর্গঠিত পরিষদ সদস্যদের নাম প্রকাশের পর থেকেই আপত্তি ওঠেছে। চেয়ারম্যান-সদস্যদের দায়িত্ব গ্রহণের দিনও পরিষদের প্রধান ফটকের সামনেই বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।