নোয়াপতং ইউনিয়নের বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি প্রধান সংযোগ সড়কের যেন মৃত্যুফাঁদ

11

॥ রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি॥
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন ৪নং নোয়াপতং ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও রোয়াংছড়ি উপাজেলার সদরে যাওয়ার গুরুপূর্ণ একটি ত্রিমুখী প্রধান সড়ক। ইতিমধ্যে সড়ক নয় যেন মৃত্যুফাঁদের পরিণত হয়েছে। শুধু রোয়াংছড়ি ও বান্দরবান জেলা সদরের যাওয়ার সীমাবদ্ধ নয়, পার্বত্য প্রাচীনতম রাঙ্গামাটি জেলা সীমানা লাগোয়া রাঙ্গামাটি জেলা সদরে যাওয়া একটি বিকল্প সড়ক এবং রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান সদরে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সংযোগ সড়ক। এই সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচলের ঝুঁকি এবং যে কোন সময় দুর্ঘটনা কবলে পড়তে পারে।
সেই সড়ক থেকে ছোট বড় যানবাহন চলাচল, কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীদের পরিবহণ চলাচল ও বিভিন্ন স্কুল,কলেজের পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ হাজারো পথচারী প্রতিনীয়ত যাতায়াত করেন। রাস্তার পাশে আবাদ জমিতে বাঁধ নির্মাণ করে মৎস্য চাষ করায় মাটি নরম হয়ে রাস্তার ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে যানবাহন ও মানুষ চলাচলের ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। ভাঙ্গা সড়কটি দীর্ঘদিন হলেও এখনো পর্যন্ত কোন প্রকারের সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসীদের মধ্যে ভোক্ষ। এর পাশাপাশি ৪নং নোয়াপতং ইউনিয়ন ও বান্দরবান জেলা সদর উপজেলা ৬নং জামছড়িসহ দুই ইউনিয়ন বাসিন্দাদের যাতায়াতে কেবল এই সড়ক থেকে যেতে হয়।
এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের বেহাল দশা যেকোন সময় দুর্ঘটনা হতে পারে। সেগুলো দ্রুতই সংস্কার কাজ না হলে সড়কটি পুনরায় নির্মাণ ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। সড়ক নিরাপত্তার জন্যে সংস্কার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে দুর্ঘটনার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিদের।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ৪নং নোয়াপতং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার মংহ্লাগ্য মারমা বলেন মানুষ সড়ক পথে গন্তব্য থেকে গন্তব্যে ছুটে বেড়ান প্রয়োজনের তাগিদে। নিজের ও পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতের আশায় কিন্তু সেই সুখের খোঁজে বের হয়ে মানুষকে গাড়ি দুর্ঘটনাতে বীভৎসভাবে কবলে পড়ে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন। তাই সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা রোধে লক্ষে তাড়াতাড়ি রাস্তার সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষে কাছে আরোধ জানান।
কলা বেপারী মো. আনোয়ার হোসেন সহ স্থানীয়রা বলেন এ সড়ক থেকে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। তাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা পরিবারের সকল সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। আবার তারাই হয়ে যান পরিবারের জন্য বোঝা। দেখা যাচ্ছে সড়কের মধ্যে বড় ধরণে এক সাইদের ভেঙ্গে পড়েছে। অনেক সময় সেই প্রাণের সাথে জড়িয়ে থাকে একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ। সড়ক দুর্ঘটনায় শুধুমাত্র একটি প্রাণ ঝরে না। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি যখন সড়ক দুর্ঘটনায় অনাকাঙ্খিতভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তখন সেই পরিবারটি অসহায়ভাবে হাবুডুবু খেতে হয়। সড়ক দুর্ঘটনা মানুষের প্রাণনাশের পাশাপাশি পরিবারে অর্থনীতির বিরাট ক্ষতিসাধন করে।
এব্যাপারে উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী দিবাকর রায় বলেন রাস্তার পাশে মৎস্য চাষের পুকুর থাকায় রাস্তাটি ভেঙ্গে পড়েছে। রাস্তার পাশে বাঁধ নির্মাণ এবং পুকুর খনন করা কোন নিয়ম নাই। এই বিষয়ে আমরা নির্বাহ কর্মকর্তা সাথে আলাপ হয়েছে। সড়কটি দ্রুতই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নোয়াপতং ইউনিয়নের রাস্তার ভেঙ্গে যাওয়ার স্থানের গিয়ে পরিদর্শন করেছি। এই ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগ এলজিইডি প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে।